পদ্মার তীরে ঐ শুভ্র শান্ত মেয়েটি
তুলে ছিলো হাসির ঝড়।
অপূর্ব তার চেহারা মুখানি রক্তিম
আভায় মিষ্টি মধুর কণ্ঠস্বর।
চোখখানি তার ডাগর ডাগর
ঘন কৃঞ্চ-কালো বরণ।
পায়ে তার নূপুর পরা ঝুমুর ঝুমুর
ছন্দের তালে তোলে ছিলো শিহরণ।
লাজুক লাজুক চোখে তার পাগল
করা মন মাতানো টান।
হৃদয়ে তার বইছে যেনো পূর্ণিমাতে
ভালোবাসার বাণ।
দীর্ঘল চওড়া দেহ তার লম্বা লম্বা
রেশমি কোমল চুল।
দেখতে সুন্দর হাসিতে তার মুক্তা
ঝরে গালে পরে টুল।
কপালে তার কাল টীপ যেনো
প্রকৃতির নির্যাসে ভালোবাসার ছোঁয়া।
রূপ লাবণ্যে হাস্যোজ্জ্বল প্রজ্বলিত
তার মুখখানি অন্তরে অপূর্ব মায়া।
রেশমি কোমল চেহারায়
কাজল বরণ আঁখি।
বাঁকা চোখে তাকায় সে লজ্জা
লাল বর্ণ হয় তার সবি।
ভীমশক্তি অপেক্ষা করে সতত
প্রচেষ্টায় বলেছিলো ভালোবাসি।
মনের হলো বিনিময় অন্তরে বাঁধিলো
বাসা হৃদয়ে ছিলো আনন্দ রাশিরাশি।
দু'চোখে তার রঙ্গিন স্বপ্ন অন্তরে
ভালোবাসার জোয়ার।
গঠন মূলক কথাবার্তা ভবিষ্যৎ
পরিকল্পনা ছিলো অনেক তার।
সময় পরিক্রমা নির্ভেজাল
ভালোবাসা হলো বড্ড পরিপুষ্ট।
অন্তরে শুধু তার প্রতিচ্ছবি মন
করেছিলো চড়ম আকৃষ্ট।
আনন্দ উদ্দীপণায় এইভাবে
জীবনের বহু সময় হলো পার।
হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঘূর্ণিঝড় এসে
সকল স্বপ্ন ভেঙ্গে করলো চুরমার।
দু'জন দুজনা থেকে হতে হলো
বিচ্ছিন্ন নেমে এলো অন্ধকার।
দুর্বিষহ কষ্টে ভেঙ্গে চুরমার হলো
মন, গুণিত সে মৃত্যুর প্রহর।
কষ্ট যন্ত্রণা পাড়ি দিয়ে বহু ত্যাগ-
তিতিক্ষা অপেক্ষা করে দীর্ঘ সময় পর।
একদিন দেখা হলো কাকতালীয়
ভাবে নির্বাক ছিলো কন্ঠস্বর।
অপলক চাহনি ছিলো উভয়ের
হৃদয়ে ছিলো অপ্রতিরোধ্য ঝাঁকুনি।
পূর্বের না ভোলা স্মৃতিগুলো আলিঙ্গন
করিতছে যেনো হৃদয় ধ্বংসনী।
সময়ের সংক্ষিপ্ততায় অপেক্ষা
করার ছিলোনা কোন অবকাশ।
পাষাণ চাপা দিয়ে অস্থির মনে
চলে গেলো মনের হলো কারাবাস।
সংসারধর্ম পালনে কোন কু-প্রভাব
পড়তে দেয়নি মনের জোড়ে।
হৃদয় ক্ষতবিক্ষত তবুও হাসিমাখা
মুখখানি সবার অন্তর ভরে।
সময়ের আবর্তনে একদিন হৃদয়
থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে স্মৃতি।
স্বস্তির নিশ্বাস আসবে জীবনে
পূর্বেকার দিনগুলোর হলো ক্ষতি।
২৮শে ডিসেম্বর ২০২০