চৈত্রে চৌচির খাঁখাঁ রৌদ্র কাঠফাঁটা তাপদাহ
তবুও না গলিলো এক টুকরো পাস্তুরিত বরফ খণ্ড।
মম দুর্বোধ্যাসনে না দাড়িয়ে, না দেখিলা
কি অপরাধ? এতো যে যন্ত্রণা! কি যে যাতনা
দুরূহ!
হৃদয়ো গগণে কুহেলিকাচ্ছাদিত কালো মেঘ
কেন জানি হয় নাতো অপসারিত, না হয় দূর।
গ্রানাইট- হীরক খণ্ড চেয়েও নিরেট কঠিন
মনের উপর নিয়ন্ত্রণ-আধিপত্য সাত সমুদ্রোর।
সংকীর্ণচিত্তে জর্জরিত তুমি, মাখিলা
অমাবস্যারতিথীর চপেটাঘাত সর্বগ গা!
গ্রহ তুমি, উপগ্রহ কারসাজিতে অনিন্দ্যকে
প্রণয় প্রহেলিকা কলঙ্ক দিলা রন্ধ্রেরন্ধ্রে ঘা!
আত্মত্যাগ-মহিমা অপেক্ষাও আত্মতুষ্টির
তীব্রতা যদি হয় নির্বিঘ্ন বেশী।
হৃদয়ের সুষমা বিকৃতরূপ, নিষ্ঠুরাত্মা
সীমাহীন প্রতিহিংসা প্রতিঘাত রাশিরাশি।
নারী তুমি প্যাকেট করা ফ্রীজেই নন্দিত,
উন্মুক্ত পুষ্প কাননে সুগন্ধি তুমি, আলোড়িত
করো কীট-পতঙ্গ।
সুনির্দিষ্ট পরমাত্মা শুধু অনাঙ্ক্ষিত, পুষ্প মাল্য
তুমি অন্তরীক্ষও পুষ্প সৌরভে মুহুর্মুহু মুখরিত।
"পূর্বাধিকার রক্ষিত" বড়ই উপহাস্য, এরি
চেয়ে বোকার স্বর্গবাস আর একটিও কভু
নয়।
নদী স্নিগ্ধোৎপত্তি বিশুদ্ধ, চড়াই-উৎরাই
আঁকা-বাকা দীর্ঘ পথ পরিক্রমা সঙ্গমস্থল
জলাঞ্জলি কুমারিত্ব।
এক চোখে মৃদু স্মৃতি অন্য চোখে ছলচাতুরী
হয়তো দোদুল্যমান আত্মঘাতী লোভ।
পরমাত্মা ছিলো সত্যিই তবুও ধরে রাখতে
ভাঙ্গে বুকের পাঁজর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিরূপ।
--------------
মার্চ১৮, ২০২৫.