পৌষের হালকা রৌদেলা সকালে শিশির
চিকচিক শুভ্র শান্ত তার মুখখানি।
লজ্জা বিমূর্ত রক্তিম বর্ণ ধারন করে মিষ্টি
হেসে চোখের নিরব ভাষা বুঝায় কি জানি!

তারপর জানি না কিভাবে কি জানি
হয়ে গেল হৃদয়ে আমার।
অস্থির মন স্বায়ুবিক চাপ বেড়েই চলল
কোন কিছুতে মন বসিত না আর।

দু'চোখে ঘুম নাই হৃদয়ের স্পন্দনে স্পন্দনে
অনাবিল আনন্দের শিহরণ।
বার বার মুখখানি ভেসে উঠে তার
দু'চোখের ভাষায় ভালবাসা করিতেছে নিবেদন।

অপেক্ষায় কাটিত প্রহর একটু দেখার অভিপ্রায়ে
বহু ত্যাগ তিতিক্ষায় সময় হতো পার।    
আবেগ আপ্লুত কন্ঠখানি হয়ে যেতো ভার,
রিমিঝিমি আনন্দের কাঁপুনিতে বাকরোদ্ধ যেন তার।

কত অভিনয় কত ছলনা আবার কত মান
অভিমান অনুরাগ করে পার হতো সময়।
ভালবাসার বাহুবন্ধন, হৃদয়ের পরিপুষ্ট
আবেগ মাখা মূহুর্ত শীতল ছায়াময়।

ভালবাসার মানুষী আমার শুধু ভালবাসার
রত্নই নয় সে ছিল প্রেরণার উৎস।
তাহার চির সজীব মানসিকতা, ভালবাসার উষ্ণ
আলিঙ্গন সকল প্রতিবন্ধকতা হতো তুচ্ছ।

মনের মাধুরী সিক্ত প্রেম পূজারী অপরূপা
কল্পনার রাণী, তোমাকে করে ছিলাম আবিষ্কার।
ভালবাসার নির্জন গহীন আবেগময় হৃদয়
উচ্ছ্বাসিত গহব্বরে নিমজ্জিত হৃদয় আমার।

ছিল না কোন ভয়ভীতি লজ্জা শরম, হৃদয়ের উপর আধিপত্যে বাগদত্তা মনে হতো তখন।
কোন অপশক্তিধর রক্তচক্ষুর আস্ফালন
করিতে পারিত না ভালবাসার দংশন।

সময় পরিক্রমায় বাস্তবতার নিরঙ্কুশ কষাঘাতে
সব কিছুর হলো অবসান।
ফেলে আসা দিনগুলি শুধু বিস্মৃতি হয়ে রহিল
অন্তরে চির জাগ্রত অম্লান।

(১৯শে অক্টোবর ২০২০)