আমি সৈনিক,
আমি মুক্তির বীরসেনা।
আমি নির্দয় আমি মহাপ্রলয়ঙ্কর,
মৃত্যুকে করি নমস্কার শত্রুকে করি ঘৃণা।

আমি মুক্তির অগ্নিপুরুষ শত্রুর
অশনি সংকেত শত্রুকে করিনা কভূ ক্ষমা।
শত্রুকে নির্মম হত্যা করা আমার অভিলাষ,
দেশগড়ি শত্রুমুক্ত পরিণত করি তিলোত্তমা।

আমি পাষণ্ড মৃত্যুর সাথে
সখ্যতা করি  মৃত্যুর সহিত করি আমি খেলা।
শত্রু দেখে গর্জে উঠি  রক্তে ধরে আগুন
কভূ করিনা শত্রকে হেলা।

আমি যুদ্ধের দামামা
বিঘলের সুর শত্রু আমার চড়ম চক্ষুশূল।
আমি শত্রুর হুঙ্কার আমি গর্জে উঠি বারবার,
আমি দেখামাত্র বধ্করি শত্রুর পাঁজরে ত্রিশূল।

আমি শত্রুর
মহা আতংক, আমি হিংস্র।
আমি সম্মুখ যুদ্ধা আমি রণবীর,
রণাঙ্গনে শত্রুকে করি নির্মম ধ্বংস।

আমি শত্রুর মহামারী
মৃত্যুর মিছিল আমার কাম্য।
আমি শত্রুর বিভীষিকা তূর্যনিনাদ,
অপশক্তিকে ধ্বংস করাই আমার ধর্ম।

আমি রক্ত পিপাসো
রক্ত পান করা আমার অধম্য নিশা।
আমি খুঁজে বেড়াই শত্রু কোথায় আস্তানা,
রক্তপানে পরিতৃপ্তি পাই মিটাই রক্ততৃষ্ণা।

দেশের সার্বভৌমত্ব ও শান্তি রক্ষা
আমার পবিত্র দায়িত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
দেশ শত্রু বেষ্টিত হলে রক্ত উঠে টকবগিয়ে
মাথায় পরে বার্জ।

আমি শত্রুকে নিষ্পেষিত করে পাঠাই
মৃত্যুপুরীতে রক্তে উঠে আনন্দের শিহরণ।
আমি রাক্ষসরাজ রক্তদেখে উল্লাসে ফেটে
পরি অন্তরে নেই কোন মমতা অনুধাবন।

আমি রণাঙ্গনের সম্মুখ বীর, শত্রু
আমার কাছে অতি তুচ্ছ পদদলিত।
দেশকে আমি ভালোবাসি পরাধীনতাকে
করি ঘৃর্ণা শত্রু পক্ষকে করি লাঞ্ছিত।

আমি সৃষ্টি শুধু  যুদ্ধ বিগ্রহ
ভীতিপ্রদ পরিস্থিতি দিতে উপহার।
যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুকে বীভৎস খতম করার
জন্য আমার রক্তে উঠে হিল্লুল বারবার।

আমি সৈনিক আমি নই শুধু নারীর
ভালোবাসা চুপিচুপি ঘরে থাকা।
আমি রণাঙ্গনের মুক্তবীর বিমূর্ত
প্রতিচ্ছবি মোর রক্ত মাখা।

আমি হাসিতে হাসিতে শত্রুর উপর
ঝাঁপিয়ে পরি মৃত্যুর সাথে করি আলিঙ্গন।
আমি নির্ভীক বিপর্যয় আমার বন্ধু মৃত্যুকে
করিনা কোন তোয়াক্কা রক্তে আমার নাচন।

আমি উন্মাদ রাক্ষসপতিদের
ভেঙ্গে ফেলি সবকটি বিষদাঁত।
আমি অত্যচারীর মহাপ্রলয়ঙ্করী
অশনি সংকেত আমি অভিসম্পাত।

হালাকু,চেঙ্গিস খানের মতো অত্যচারীর
বিষদাঁত উপচে ফেলার আমি ভীমশক্তি।
আমি সাম্রাজ্য গ্রাসকারী অপশক্তিগুলোর
বিরুদ্ধে ধ্বংসলীলা চালিয়ে পাই পরিতৃপ্তি।

আমি সৈনিক আমার অকৃত্রিম
ভালোবাসা দেশ ও মানুষের তরে।
অকাতরে প্রাণ করবো দান দেশের
সার্বভৌমত্ব ও শান্তি রক্ষায় শ্রদ্ধাভরে।

১১ জানুয়ারি, ২০২১