আমর ইবনূল আস (রঃ) মিশরের প্রথম
খলিফা মিশর দখলে দিয়াছিলেন নেতৃত্ব।
মিশরবাসী আসিয়া জানাইলেন একটি
পুরাতন প্রথা আছে আমাদের প্রচলিত।

তিনি জানিতে চাহিলেন কি সেই পুরাতন
প্রথা আছে প্রচলিত বল হে আমায় এখন।
প্রতি বৎসর চলতি মাসের এগার তারিখ
কুমারী কন্যা নীলনদে করিতে হয় অর্পণ।

বাবা মা'র অনুমতি ক্রমে দামী স্বর্ণালংকার
ও সুন্দর জামা পরাইয়া করিলে বিসর্জন।
নীলনদ পানিতে দুই কূল প্লাবিত করিয়া
ভাসিবে কৃষির হইবে উন্নতি জুড়াইবে মন।

আমর (রাঃ) বলিলেন  এই সমস্ত প্রথার
নাই কোন ভিত্তি অযথাই জীবন করে হরণ।
ইসলাম মানুষের জীবন করে রক্ষা শান্তি
করে আনয়ন নির্মমতাকে করে অপসারণ।

মিশরবাসী চলিয়া গেলো কিন্ত যথাসময়ে শুরু
হইয়া গেলো চড়মভাবে নীলনদে খরা।
পানি না আসায় কৃষি নির্ভর জনগণ দেশ
ত্যাগ করিলো শুরু তাহারা অসহায় সর্বস্ব হারা।

ঘটনার বিবরণ আমর (রাঃ) খলিফা হযরত
ওমর (রাঃ) কে চিঠির মাধ্যমে জানায়।
চিঠির প্রত্যুত্তরে উমর (রাঃ) জানায় সঠিক
জবাব দিয়াছো তুমি সাথে চিরকুট পাঠায়।

চিরকুট লেখা হে নীলনদ তোমার পানি যদি
তোমার হুকুমে চলে তাহলে নেই প্রয়োজন।
আর যদি আল্লার হুকুমে চলে মুহুর্তেই আল্লাহর
হুকুমে প্রবাহিত হইবে না করিবে কালক্ষেপণ।

আমর (রাঃ) চিরকুট খানা রাত্রিকালীন সময়ে
নীলনদের পানিতে রাখিয়া আসিলেন চলিয়া।
সকাল ভেলায় মিশরীয়রা দেখিলো দু'কূল প্লাবিত
করিয়া ষোল হাত উপরে পানি চলিলো ভাসিয়া।

নীলনদের পানির স্রুতধারা অদ্যাবধি প্রবাহিত
হইতেছে প্রতিনিয়ত নেই আর কোন সমস্যা।
কৃষক ফসল ফলায় নীলনদের অববাহিকা উর্বর
ভূূমিতে উন্নতি ঘটিয়াছে যোগাযোগের ও ব্যবসা।

মে ২৮, ২০২১