নিলামবড়ী শাড়ী পড়ে কাজল বধূ
গাঁয়ের মেঠোপথে করতো আনাগোনা।
হাতে তার রেশমী চুড়ি চোখে কাজল যেনো
পাগল মনা চোখ দু'টো ছিলো কৃঞ্চকালো টানাটানা।
গল্পকথায় ছিলো হাসিখুশি
আনন্দ যেনো উপচে পরা অগ্নিঝরা।
বধূবরণ সাঁজে ভাব মজিয়ে চলতো
হেলেদোলে হৃদয় ছিলো আবেগে ভরা।
নিলামবড়ী অহংকারে শতরূপে
অপরূপা সাজে সাজিত গাঁয়ের কাজলবধূ।
রেশমী চুড়ি অলংকারে ঝনঝনানি শব্দে
ছন্দের ঢেউ তোলে হেঁটে যেতো গাঁয়ে মিষ্টিবধূ।
ভদ্রতা সৌখিনতা ছিলো যেনো
দৃষ্টান্ত মুলক যার নেই কোন তুলনা।
হাসিখুসি মুখখানি অন্তরে শান্তির
পরশ মনে ছিলো চাঞ্চল্যতা যেনো সুরঞ্জনা।
ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যও একটু
সময় পেলে থাকতো সে হাসি খুসি।
আনন্দ ঢেউ তোলে সর্বদাই প্রাণবন্ত
রাখতো সে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী।
সংসার ধর্মের যাবতীয় কাজকর্ম
নেই কোন তার তুলনা।
অতিথি আপ্যায়নে অতুলনীয় মন-
মানসিকতা নেই কোন গুঞ্জনা।
১৩ জানুয়ারি, ২০২১