রাস্তার ধারে ফুটফাতে অচেনা নতুন
পুরাতন অনেক অতিথি জমিয়েছে ভীড়।
ছোট্ট শিশু বাচ্চারা দিচ্ছে হামাগড়ি, যুবক
বৃদ্ধরা তৈরি করছে নেশার জগতের নীড়।

খাবারের চিন্তা কভু করে না তারা, নেশার
মনোপূর্ত আয়োজনে দারুণ ব্যতিব্যস্ত।
ক্ষুধা তৃষ্ণার জ্বালা উপেক্ষা করে নেশার
খরচাপাতি-উপাদান সংগ্রহে চরম আকৃষ্ট।

অনাহারী পেট তবুও তাদের যেন না আছে
কোন বিন্দু পরিমাণ ভ্রুক্ষেপ।
নেশা প্রাপ্তির বিড়ম্বনা যেন হৃদয় বিদীর্ণ
তাদের শুধু করে হৃদয় উচ্ছ্বাসিত আক্ষেপ।

নেশার ধান্দায় কেউ করে ভিক্ষাবৃত্তি কেউবা
আবার করে কর্ম, কেউবা করে চুরি।
সুদর্শন নেশাখোরদের স্ত্রী ভিক্ষাবৃত্তি করে
যোগায় নেশার টাকা যেন ভালবাসার ঝুড়ি।

দু’চোখের সামনে মরছে তারা, কারোকারো
শরীরে ধরেছে পঁচন।
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত
চলবে নেশা, বুকে নেই কোন ভীতি কম্পন।

অপকর্মের মধ্যে এদের বেড়ে উঠা, অপকর্ম
এদের জীবন, অপকর্মই যেন এদের স্বভাব।
অপকর্মগুলো এদের রক্তে গেছে মিশে কভূ
মনে করে না অপকর্মে নৈতিকতার অভাব।

নেশার আসক্ততায় এদের মনোবল এতো
বেশী, করে না কভূ কাউকে পরোয়া।
নিউক্লিয়ার আবেশ্যতাও এদের মনোবলের
কাছে কঁচি খোকা, তবুও জগতটি ঘরোয়া।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২১ খ্রিঃ