নারীর সত্তা হইল নারীত্ব যাহা তাহার
অর্জিত মহামূল্যবান স্বর্গীয়গুণ।
সূর্যের আলোর মতো প্রজ্জ্বলিত চারিপাশ,
যেন শান্তির পরশ জুড়ায় মন।
নারীর গুরুত্ব এই পৃথিবীতে অনেক বড়,
অনেক মহৎ অতুলনীয়।
জাগতিক কল্যাণকর অবধানে তাহার
নিরূপিত স্থানের মূল্য অকল্পনীয়।
সন্তানকে পেটে ধারণ করিয়া অতঃপর
করিতেছেন লালন পালন।
স্নেহ মায়া মমতা শাসন করিয়া সন্তানের
মনুষ্যত্ব বিকাশ করিতেছেন বাস্তবায়ন।
নারীর হয় না কোন তুলনা সেই তো
মানুষ গড়িবার বাস্তব কারিগর।
শত কষ্ট-লাঞ্ছনা সহ্য করিয়া গড়িয়া
তুলিতেছেন উন্নয়নের ঝড়।
বহু সতর্কতায় বহুযত্ন করিয়া গোছাইয়া
রাখিতেছেন নিজ সংসার আবাসস্থল।
বিন্দু পরিমাণ ত্রুটি বিচ্যুতি হইতে দেয়
নাই, সর্বদাই রাখিতেছেন স্বচ্ছল।
আত্মীয় স্বজন ঘর সংসার সামলাইয়া
রক্ষা করিতেছেন স্বামীর মন।
স্বামীর সাথে গোপনে রক্ষা করিতেছেন,
ভালোবাসার মিষ্টি মধুর বন্ধন।
নারী হইল ভালোবাসার অমূল্য মহাধন,
হৃদয়ের আশা পরশ মণি।
নারীর ভালোবাসায় ডুবিয়া থাকে জনম
জনম ভরিয়া ভালোবাসার অন্তরখানি।
প্রতিকূল পরিবেশে স্বামীর পাশে
দাড়াইয়া ছড়াইতেছেন শান্তির পরশ।
অস্থিতিশীল পরিবেশে করিতেছেন
আশার সঞ্চার, যোগাইতেছেন সাহস।
অফিস আদালত কিম্বা স্বাস্থ্যখাতে
তাহার কোন বিকল্প ব্যবস্থা নাই।
শিক্ষাখাতে ব্যাপক উন্নতি, পুরুষ
মানুষও হার মানিয়াছেন তাই।
নারী হইল এই ধরণীতলে বিধাতার সৃষ্টি
এক অমূল্যবান সম্পদ শ্রেষ্ঠ উপহার।
নারীকে সহধর্মিণী করিয়া পৃথিবী হইল
অপরূপ সৌন্দর্য যেন রূপের বাহার।
নির্দিষ্ট পরিসরে নারীর গুরুত্ব অপরিসীম,
বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে সর্বস্তরে বিস্তৃত।
নারীর অপরূপ সৌন্দর্য বর্ধনে বিশ্ব হইল
মহিমান্বিত ও অপরূপে অলংকৃত।
ডিসেম্বর৩০, ২০২০ খ্রিঃ