স্বার্থলোভী প্রেতাত্মাগুলোর কভু বুঝা যায়
না রঙ মাখানো ভীড়ে আসল ন্যাঙটা চরিত্র।
স্বার্থ লিপ্সা সবকিছুই চলে অতিসুকৌশলে
ধরা-ছোঁয়া উর্ধ্বে লুকায়িত পাপাত্মা-কলুষত্ব।
আন্তরে-অন্তরাত্মা জনমজনম তবুও না হয়
স্বচ্ছ-নির্মল, না হয় আপন শুধু ফন্দি-ফিকির
তিক্ত-বিষাদ।
হাস্যোজ্জ্বল মুখাবয়ব-মস্তিষ্ক আনে সর্বনাশ,
নিঃস্ব সর্বস্বান্ত তলানিতে পৌঁছাতে আনন্দ-
অভিলাষ।
বিষধর সাপ কভু করেনি বিন্দু ভুল ফোটাতে
বিষদাঁত তুলে তার ফণা।
দুষিত দেহাংশ কলুষিত রক্ত কভু করে না
মহাযত্নের নিজ দেহেও ক্ষমা বিন্দুকণা।
আত্মার পরম আত্মীয় লভিল যারে কভু
দেখা মিলবেনা তারে মহাবিপদ সন্ধিক্ষণে।
মহারত্ন দু'টি হাত উম্মুক্ত আশীর্বাদ কভু
ভাবিনি যারে তবুও পরিপূর্ণ কল্যাণ অনুক্ষণে।
অনুনয় বিনয় কৃতজ্ঞতায় সর্বদা প্রফুল্লচিত্ত,
জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
কি করে চেনা যায় তারে? মুনাফেকি লুকায়িত
পরতেপরতে রঙে ঢঙে দিচ্ছে তেপান্তরে সঙ্গ।
অন্তরাত্মা যেন নীলাভ কলুষিত, আপনপর
কভু কাটে না দাগ।
স্বার্থই তখন সোচ্চার-সম্বল, মুখথুবড়ে পরে
ন্যায়নীতি ভালোবাসা রাগ অনুরাগ।
আত্মশুদ্ধি উৎকর্ষ মনন সর্বকিছুই ধর্মীয়
অনুভূতি-অনুশাসনে সর্বোৎকৃষ্ট ফল।
মুনাফেকি যুগ! আশাটাই দুরাশা-
দুষ্কর সদ্য টলমলে পানিফোটা নীলোৎপল।
০৯মার্চ, ২০২৫