ময়ূরের অপরূপ সৌন্দর্য দেখিয়া
বাঁদুড়ের মনে জাগিল ভীষণ শখ।
পুঁতির মালা পরিয়া সে অপরূপা
অনিন্দ্য সুন্দরী হইবে করিল পরখ।

আদিরূপ তাহার বিনষ্ট হইয়া, হইল
কুৎসিত কৃত্রিম এক বীভৎস রূপ।
প্রাণী সকল করিল পরিহাস দেখিয়া
তাহার ভূয়া প্রশংসিত অপরূপ।

বাঁদুড় না বুঝিয়া করিল সে তাহার
রূপের বড়াই গৌরব।
ময়ূর কহিল শোন হে ভাই সকল
ফুলের থাকে না কোন সৌরভ।

বাস্তবতাকে বৃথাই করিবে পরিহার,
কৃত্রিমতা পাইবে না কোন স্থান।
কৃত্রিম সাজে বহুরূপী সাজিয়া,
মূল্যবোধ করিবে শুধু বৃথাই অবসান।

অতীত হারাইয়া শুধু বর্তমান গৌরবের
দাসত্ব করিতেছে যে সকল অভাগা।
মনুষ্য ভুবনে অবহেলিত, ঘৃণীত সে,
উপরের চাকচিক্যতা ব্যস্ত এই হতভাগা।

কবিতা হইল কাব্যিক ছন্দপতনের অর্থবহ
বাক্যশৈলীর গঠনতন্ত্রে পদ্মময় শ্রেণীবিন্যাস।
গদ্যকবিতা গল্পময় শ্রেণী বিন্যাস্ত, ছন্দের
ঝঙ্কানি-অলংকারের নেই কোন অবকাশ।  

কবিতার শৈল্পিকচর্চা আভিজাত্য সংস্কৃতি,
বহুপূর্ব হইতে গৌরব গাঁথা ইতিহাস।
মহিমান্বিত ছায়াতলে আশীর্বাদ পুষ্ট হইবে কবি
বৃন্দ অন্তরে থাকিবে স্নিগ্ধ শান্তির প্রয়াস।                      জুলাই ০৭, ২০২১ খ্রিঃ