আজ বিশ্বনেতৃবৃন্দের রোষানলে
মনুষ্যতন্ত্রের রক্ত জমাট বেধেঁ হয়েছে হিম।
একদিন মহান নেতাগণের আবির্ভাবে পৃথিবী
ছিল সুশীতল মনুষ্যতন্ত্র ছিল স্বশস্ত্র রক্তিম।

দেহের দূরারোগ্যব্যাধি ছাড়াতে সেবন করে
ঔষধপত্র প্রয়োজন অনিবার্য ডাক্তারের।
মনুষ্যতন্ত্রের নিম্ন রক্তচাপ উর্ধ্বমূখী করতে
মনের উৎকর্ষতা বাড়াতে হবে নেতাগণের।

দেহের সংক্রমিত দূষিত নীল রক্ত
সেচ্ছায় করতে হবে অপসারণ।
বিশ্বমানবতা বাঁচাতে হবে, উত্তরণ
ঘটে যেন মনুষ্যতন্ত্রের উর্ধ্বমূখী সঞ্চালন।

হিংসা বিদ্বেষ আর নারকীয় লোভ লালসা
রক্ত করেছে ওদের কলুষিত নীল।
কলুষিত রক্ত পরিশোধ্য করতে না পারলে
মনুষ্যতন্ত্র থাকবে চিরদিন অস্থিতিশীল।

হীরের কারুকার্য খচিত রূপসজ্জায়
সজ্জিত প্রাসাদ অট্টালিকা ছড়ায় আতঙ্ক।
সুপ্ত অগ্নিগর্ভে পরিণত হীরের প্রাসাদ শুধু
মনের বিভীষিকা গঠনতন্ত্রে যেন কলঙ্ক।

সুখের নিবাস শান্তি পরশ করছে নির্ভর
আত্মার উৎকর্ষতা ও কর্মের উপর।
অর্থ সম্পদ বৃথাই লোভ লালসা শান্তি
কভূ নির্ভর না করে অর্থ ও প্রাচুর্যের ভিতর।

জনকল্যাণার্থে উত্তম কর্ম নেতৃবৃন্দ হয়
অবিসংবাদিত মৃত্যুর পরও রাখে স্মরণ।
অপদার্থ অকল্যাণকর মহাশক্তিধর থাকুক
মণিমুক্তা সাজে নিকৃষ্টতাই করবে সে বরণ।

জানু ২৮, ২০২২ খ্রিঃ