বিবর্ধিত হইয়া আজকের এই সভ্যজাতি
পরিণত হইয়াছে মানবকুল।
পূর্বে তাহারা ছিল বন্য, উলঙ্গজাতি, জীবন
প্রবাহের উপজীব্য ছিল শুধু শিকার ফলমূল।
শিক্ষা সংস্কৃতির অভাবে তাহারা ছিল বন্য,
উলঙ্গ, যাযাবর অসভ্যজাতি।
ধীরেধীরে ক্রমবিবর্ধনে অক্লান্ত পরিশ্রমে
আজকের সভ্যতার এই ফলশ্রুতি।
এইরূপ হইল মতাদর্শবাদীর মনগড়া মতবাদ,
যাহা মনের শুধু নিছক অভিব্যক্তি।
বাস্তবতার রহিয়াছে সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি তবুও
না আছে তাহাদের কোনরূপ স্বীকারোক্তি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হইয়াছে জয়যাত্রা, সাথে
পাল্লাদিয়া বাড়িয়াছে রুচিবোধ।
মানুষের মনমানসিকতা, নৈতিকতার হইয়াছে
বিপর্যয়, না আছে কোথাও কোন নীতিবোধ।
কোন কোন মতাদর্শীর বদ্ধমূল ধারণা, বানরের
বিবর্ধনরূপ লাভ করিয়া হইয়াছে মানবজাতি।
অবাস্তব মতাদর্শন মনগড়া কথাবার্তা, যাহা
সম্পূর্ণরূপে যুক্তিহীন ও অসংগতি।
পূর্বে মানবজাতি ছিল সহজ সরল সাবলীল,
তাহাদের ছিল অতি মনোরম সুন্দর জীবন।
দিক নির্দেশনা, প্রয়োজনীয় উপজীব্য, জ্ঞান
গড়িমা দিয়া প্রভু করিয়াছেন পরিচালন।
বাবুই পাখি বাসা বাঁধে কত নিখুঁত মনোরম
তাহার মনকাড়া কারুকার্য।
কোথায় পাইয়াছে শিক্ষা সংস্কৃতি, কোথায়
তাহার প্রশিক্ষণ বুননে তাহার এতো সৌন্দর্য।
নতুন করিয়া গ্রহণ করিতে হয় নাই শিক্ষা,
পাইয়াছে উত্তরাধিকার সূত্রে অর্পিত জ্ঞান।
আদি-অন্ত একই সূত্রে গাঁথা, বুননে
পারদর্শী যেন কারুকার্যে একই সবার মান।
পৃথিবীতে নেই কোন প্রাণী বা সৃষ্টিকূল যাহার
গঠনগত ঘটিয়াছে আমূল পরিবর্তন।
শঙ্খচিল কাক শালিক বা অন্যকিছু পূর্ব হইতে
রহিয়াছে একই আকৃতির একই ধরন।
সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ মহিমান্বিত মানবজাতি
কখনো আসে নাই কোন অস্বচ্ছতা।
আসিয়াছে যেন অভিনন্দিত হইয়া, ছিলনা
কোন তাহাদের অপূর্ণতা।
মানুষ সর্বোচ্চ মহিমান্বিত শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী
নাই কোন তাহার সংশয়তা।
উলঙ্গ কিম্বা পশু হিসাবে পৃথিবীতে পদচারণা,
যাহা কাল্পনিক অবাস্তবতায় ভরা একগুঁয়েমিতা।
২৪ নভেম্বর, ২০২০ খ্রিঃ