কেমন আছো --- বললো সে বিমূর্ত
রক্তিম বর্ণ ধারন করে।
মুখাবয়বে যেন শিশির বিন্দু আঁকা
আবেগ আপ্লুত কম্পিত কন্ঠস্বরে।

স্নায়বিক চাপ অপ্রতিরোধ্য তবুও
শক্তিতে নিজেকে করে সংবরণ।
বাতাসের প্রতিঘাতে দোলত সে
ওজনহীন ভারসাম্য শূণ্যে উড্ডয়ন।

বহুদিন পর কাকতালীয় ভাবে দেখা,
এই রূপ দর্শনে অপ্রস্তুত ছিলো সে।
আবেগের উঠানামা এতো বেশী ছিলো,
অপলক চাহনি বৈকি অন্তর রুদ্ধ যে।

প্রেয়সীর প্রেম ভালোবাসা ভাসছে
হয়তো ইথার স্তরে পেয়েছে অমরত্ব।
কি মর্মান্তিক লোমহর্ষক প্রস্থান তার
সমগ্র শরীর যেন নীলাভবর্ণ হিম প্রস্তরীত।

বাস্তবতার রূঢ় কড়াল গ্রাসে পাষাণ
চাপা দিয়ে হলো তার প্রস্থান।
এক বুক জ্বালা আর দুর্বিসহ কষ্ট যন্ত্রণা
তার জীবনের মূল উপাখ্যান।

বিমূঢ় হৃদয়ে বিমোহিত করে স্বামীর
সংসার ও সবার মন।
নিজে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত  হৃদয় তবুও
মুখের স্বৈর্গীয় হাসি জোড়ায় যেন প্রান।

নির্থর পাথর চোখে ছিলাম শুধু তাকিয়ে
কিছু বলার ছিলোনা কোন অবকাশ।
মূহুর্তগুলো হৃদয় করে ছিলো চৌচির বেদনা
বিদীর্ণ শুধু হৃদয় তোলপাড় করা উচ্ছ্বাস।

আমার প্রেয়সীর না ভোলা স্মৃতিগুলো
বারবার মৃত্যুর অগ্রদূত হয়ে স্মৃতিচারিত হয়।
অন্তর পুড়ে হৃদয় করে খানখান তবুও
স্মৃতিগুলো যেন আনন্দ ঘেরা মিষ্টি মধুময়।

আজও স্মৃতিগুলো যেন জ্বল-জ্বলন্ত মিষ্টি
হেসে ডাকছে সে তারি কাছে মেলে দু'হাত।
অপলক চাহনি যেন তার অন্তরীক্ষে
দোদুল্যমান পূর্ণিমার এক থালা পূর্ণ চাঁদ।

সীমাহীন উত্তাল মুহুর্তগুলো সে ছিল
তার ভালোবাসার সিদ্ধান্তে অনড়।
কালো মেঘের থাবা কখনো পরতে দেয়নি
তার মনের উপর বিন্দুবৃত্ত আঁচড়।

অগণিত ঘাত প্রতিঘাত মধ্যেও ছিলো সে
প্রেম পূজারী প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি।
নীড় ভাঙা ঝড়ে কবলিত সে বারবার বলে
ছিলো চলো ছাড়ি বাড়ী "ঘটুক পরিসমাপ্তি"।  

আমি শুধু দৃষ্টিহীন পাথর চোখে তাকিয়ে
ছিলাম অনিন্দ্য সুন্দর নিষ্পাপ মুখখানির প্রতি।
নির্বাক কন্ঠে অশ্রু সিক্ত নয়নে ধীর গতিতে
হলো প্রস্থান আমি রিক্ত বুকে শুধু তার স্মৃতি।

এখন শুধু স্মৃতির দৃশ্যপটে অহরহ সে ভেসে
বেড়ায় স্মৃতিগুলো যেন সিক্ত বেদনা বিমধুর।
আমাকে আমি কিভাবে করবো ক্ষমা অন্তরে
দগ্ধ চাপা পাষাণ কান্না যেন আমি নিরুপায় অস্থির।

জুন ০৮, ২০২১