মানুষ যখন সে তার মৃত্যুর
মুখোমুখি হয়ে দাড়ায়।
চড়ম সত্যটাকে করে সে
উপলব্ধি সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনায় তখন লুঠায়।

শেষ বিদায়ের লগ্ন যখন
আসে দ্রুততম ঘনিয়া।
দুনিয়ার মোহ-মায়া মমতা
হয় বিদূরিত পরিচ্ছন্ন হয় অন্তরের কালিমা।

বিদায়ের লগ্নে কেহ সময়
কতটুকু পাবে নাই কোন প্রজ্ঞাপন।
বিপদ সংকুল সময়ে সতর্ক
না হয়ে সঠিক সময়ে জ্ঞানী করে আত্মসমর্পণ।

জীবনের সীমাহীন প্রাপ্তিতে
কভূ নাহি করি গড়িমসি।
সময় চলে গেলে আসে না
ফিরে বাকি কাজ থেকে যায় ফাঁকি আহা! সর্বনাশী।

অংকুরিত জীবন সাঁচে তৈরী
করে মহিমান্বিত ঐর্শ্বী জীবন।
ঘষামাজা বৃদ্ধি পায় ক্ষুরধার,
অলস্যতা পরে মরিচা পরিষ্কার কভু না হয় তেমন।

জীবনের অন্তিম শয্যায়
অন্তর করে শুধু হায়! হায়!
অন্তরে থাকে শুধু আফসোস
সতত চেষ্টাও কভূ হয় না জীবন পরিপূর্ণ এ ধরায়।

দুনিয়ার মোহ-মায়া বশবর্তী হয়ে
জীবন কভূ নাহি করি অঙ্গার।
হেঁয়ালিপনা জীবন কাটালে
প্রভূর ক্ষমা কতটুকু ভাগ্যে জুটবে অজানা সবার।

এপ্রিল ১৪, ২০২১