বর্ষায় বৃষ্টি পড়ে রিমঝিমিয়ে যুগল পা'য়ে
নূপুর পরে টাপুরটুপুর।
বাজুমল অঙ্গেগাঁথা, চঞ্চলচপলা অস্থির
পা'য়ে, বারিবর্ষণ করে খালবিল টুইটুম্বর।

কখনো আবার আষাঢ়ের ক্রন্দন চলে অবিরত,
দুচোখের বিরামহীন পানিতে হয় বারিবর্ষণ।
রাস্তাঘাট নদীনালা দু'কূল প্লাবিত করে আপন
মনে ধেয়ে  চলে ভাঙ্গনের গান গেঁয়ে সর্বক্ষণ।

কখনো অগ্নিমূর্তি ধারণ করে হয় অতিরুক্ষ,
সম্মুখে যা দেখে আপন মনে করে প্লাবিত।
মানুষের কল্যাণকর কাজে উদাসীন, চালায়
তান্তবলীলা, স্রোত প্রবাহের গতি অনিয়ন্ত্রিত।

নিরীহের অভিশাপে নয় কম্পিত বুক, বন্যা
কবলিত দুর্যোগে চরম দুর্দশায় হয় নির্বিকার।
মানুষের নির্মম আহাজারি আত্মবিলাপ একবুক
দীর্ঘ নিঃশ্বাস, জীবনের অবিচ্ছেদ্য অলংকার।

কখনো আবার সুখের পরশমণি হয়ে ছন্দের
ঢেউতোলে, গল্প শুনায় যেন শান্তির তোপধ্বনি।
পলি উর্বর মাটি যেন ফসল উৎপাদনের অর্পিত
সম্ভার, আনন্দ উল্লাসের মূলবিন্দু মধ্যমণি।

খালবিল নদনদী জলাশয় হয়ে উঠে প্রাণবন্ত,
ফিরে পায় তার নাব্যতা।
দু'কূল প্লাবিত করে উঠে রূপালি ঢেউ, অনিন্দ্য
শোভাবর্ধন, মাঝিমাল্লা মেতে উঠে প্রফুল্লতা।

ব্যবসা বাণিজ্য যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠে
সুগম, তারি সাথে ময়লা আবর্জনা হয় পরিষ্কার।
রঙ বে’রঙের বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সমাহার,
সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবারের হয়ে উঠে সম্ভার।                      

জুন ০৫, ২০২১ খ্রিঃ