বেদনার নীলাচলে রাত-দুপুরে
চুরাবালি করে মিটিমিটি খেলা।
শান্তির পরশ কভূ করে নাকো স্পর্শ,
ভাগ্যে শুধু ধু-ধু মরীচিকার স্তব্ধ মেলা।

কষ্টগুলো উড়ছে উড়ন্ত তুলোধোনোর
মতো নীল আকাশ করছে ঝাপসা।
অপ্রতিরোধ্য তার দগ্ধলীলা ঝলসে
শরীর পুড়ছে মন চর্তুদিকে অমাবস্যা।

তীব্র শক্তিতে কষ্টগুলো দেয় দামাচাপা
ললাটে ভাজ মুখে একটু করুণ হাসি।
তবুও শুষ্ক মলিন মুখে প্রত্যুত্তরে শুধু
বলতে হয় হ্যা-আমি বেশ ভালো আছি।

দিবা-নিশি চালাচ্ছে তাণ্ডবলীলা
গুপ্তঘাতক হয়ে করছে তছনছ।
তথাপি শক্ত মনোবলে করবে তাকে
পরিহার প্রশ্রয় দেবে নাকো অছকছ।

জীবন সত্যিই নয় শুধু শান্তির নীড়,
থাকবে বাস্তব জীবনে তীব্র কষাঘাত।
দুঃখ-কষ্ট ক্লেশ হউক যতোই বড়
তবুও হাসিতে করবে জয় জিন্দাবাদ।

সুখ-দুঃখের সংমিশ্রণে জীবন অনিন্দ্য
সুন্দর যথার্থ অর্থবহ সোনালী প্রভাত।
দুঃখ আছে বলেই সুখের এতো
তেজস্ক্রিয়তা মনে কাঙ্ক্ষিত প্রভাব।

সুখ হলো কষ্ট ক্লেশের অমূল্যধন
অতি দামী এক পশলা উপহার।
উৎস অভিন্ন কর্ম শুধু ডানে বামে
বাড়ায় উৎকর্ষতা গৌরবাধিকার।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১