মেসোপটেমীয় সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন দৃষ্টি
নন্দিত স্থাপনা ব্যাবিলনের শূণ্য উদ্যান।
ইউফ্রেটিস নদীর তীরবর্তী খ্রিষ্ট পূর্ব ছয়শত
শতাব্দীতে সূর্য স্তম্ভের উপর যাহা নির্মাণ।
ব্যাবিলনীয় সম্রাট নেবুজাত নেজার মিডিয়ান
রাজ্যের রাজ কন্যাকে করেন বিয়া।
সম্রাজ্ঞীকে খুশি করার নির্মিত্তে প্রমোদকানন
হিসাবে শূণ্য উদ্যান তৈরী করেন ভালোবাসিয়া।
মিডিয়ান রাজ্য ছিল অপরূপ সুন্দর পাহার পর্বত
দৃষ্টি নন্দিত সবুজ বৃক্ষরাজিতে ঘেরা।
ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্য সমতল মরুভূমি হওয়ায়
রুক্ষ প্রকৃতিতে সম্রাট পত্নী ছিলেন ভীষণ মনমরা।
সম্রাট নেবুজাত নেজার পত্নী মিডিয়ান রাজ
কন্যাকে ভালোবাসতেন হৃদয় করে উজার।
নেবুজাত নেজার ভালোবাসার নিদর্শন পত্নীকে
খুশি করতে ব্যাবিলনের শূণ্য উদ্যান করে তৈয়ার।
সম্রাট নেবুজাত নেজার তার প্রাসাদ ভবনের
সন্নিকটে কৃত্রিম পাহাড় তৈরী করার দেন নির্দেশ।
সূর্য স্তম্ভের উপর তৈরী স্থাপনায় সমগ্র বিশ্বের
প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার ফুলের হয় সমাবেশ।
আটশত বর্গ ফুট পরিধির আশি ফুট উচ্চতায়
ব্যাবিলনীয় শূণ্য উদ্যানটি হয় নির্মিত।
চার হাজার শ্রমিকের অক্লান্ত পরিশ্রম এক
হাজার পঞ্চাশ জন মালি পরিচর্যা করত নিয়মিত।
বাগানকে সতেজ রাখার জন্য পানির
সুবন্দোবস্ত করা ছিল সত্যিই বিস্মিত ব্যপার।
ইউফ্রেটিস নদীর তীরবর্তী হওয়ায় প্রযুক্তির
উৎকর্ষতায় পানির সরবরাহের ছিল সম্ভার।
খ্রিষ্ট পূর্ব ছয়শত চৌদ্দ সালে পার্শ্ব বর্তী পারস্য
রাজ্যের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘটিত হয় তুমুল যুদ্ধ।
পারস্য রাজ্য যুদ্ধে দৃষ্টি নন্দিত ব্যাবিলনীয় শূণ্য
উদ্যান পুরোপুরি করে ফেলে বিধ্বস্ত।
খ্রিষ্ট পূর্ব চার শত সালে ব্যাবিলনীয় পুরোহিত
বেরুসাস সাহিত্যে প্রথম এ কাহনী করে লিপিবদ্ধ।
গ্রীক ইতিহাসবিদ এ কাহিনীকে প্রাণচাঞ্চল্যকর
করে গড়ে তোলে আরও সমৃদ্ধ।
একশত চৌদ্দ বছর পর ব্যবিলনীয় পুরুহিত
বেরুসাস কোথায় পেল প্রমানহীন এ তথ্য!
বাস্তব সমৃদ্ধ হলে তখনকার কবি সাহিত্যিক,
ইতিহাসবিদ রচনা করতে কেন হয়েছেন ব্যর্থ!
শূণ্য উদ্যান ইরাকের আরেক প্রাচীনতম সাম্রাজ্য
এসেরিয়ান নগরের নিনাভিয়েতে অবস্থিত।
এসেরিয়ান রাজা সিনক্লিয়েভ খ্রিষ্ট পূর্ব ছয়শত
একাশি সালে টাইগ্রিস নদীর তীরে করেন নির্মিত।
প্রাচীন কালের কাহিনী নিয়ে খাকতে পারে কিছু
ভিন্নমত সন্দেহ, তাহা দোষের তেমন কিছু নয়।
ব্যাবিলনের শূণ্য উদ্যান বিশ্ব গবেষকের পেয়েছে
স্বীকৃতি, তবে গঠনতন্ত্রে ভিন্নমত পরিলক্ষিত হয়।
মার্চ ১৯, ২০২১