(ডায়রির পাতা থেকে, আমার প্রথমদিকের লেখা। তং -২৪/১২/২০১৩)
অদ্ভুত ভাল লোকটা,
নেই কোন তার চিন্তা,
সত্যিই সে অদ্ভুত।
আমাদের এই ভদ্র সমাজ থেকে,
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে,
জন্মদাত্রী অসহায় মায়ের কাছ থেকে,
নিজের কাছ থেকে সত্যিই সে আলাদা।
দেখেছিলাম সেদিন চৌরাস্তার মোড়ে
সেই অদ্ভুত লোকটারে।
পরিধানে একটি পলিথিনের ব্যাগ।
হয়তো সম্মান রক্ষার জন্য।
একটি মোটা পেপারের চাঁদর,
হয়তো শীতের শীতল বাতাস
থেকে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা।
বসেছিল শীতের সকালে,
রবির আলোর দিকে চেয়ে
নোংরা ময়লার স্তূপের পাশে।
কনকনে ঠান্ডায় ভদ্র সমাজের দিকে চেয়ে আছে, তার সঙ্গে মুখে ফুটে উঠেছে অট্টহাসি।
সে হাসি যেন কিছু বার্তা দিতে চাইছে,
এই অন্ধ সমাজ কে, হাসিতে ফুটেছে তার,
হে উন্মাদের দল, হে পাগল
তোরা এত অনন্ত গতিতে ছুটে চলেছিস,
একটু তোদের বিশ্রামের উপায় নেই।
একমুঠো খাবারের জন্য তোরা হন্য।
হা -হা আমাকে দেখে শেখ তোরা,
আমার পরিধানে নেই কোন চিন্তা,
নেই খাবার চিন্তা, না আছে ভালবাসার চিন্তা।
আছে ভয়, সমাজ কাছ থেকে,
লুকিয়ে থাকার চিন্তা, বেঁচে থাকার চিন্তা।
আছে মৃত্যু ভয়, আছে মানুষের হিংসার ভয়,
সত্যিই সে অদ্ভুত।