ছিন্ন কাপড়ে, অর্ধ-উলঙ্গ মেয়েটি ভাবেনি সে মা হবে।
সে তো পাগলী , অন্নের খোঁজে ঘুরে দ্বারেদ্বারে।
সমাজ তাকে দিয়েছে পরিচয়, সে পাগলী,
পাগলীর আবার বিয়ে হয় নাকি?
তবুও পাগলী মা হবে।
না আছে বাবা, না আছে মা, না আছে ঘর
সে জানবে কি করে, কষ্ট কি, দুঃখ কি,ভালবাসা কি?
সে তো জানে না বিয়ের মর্ম, জানে না স্বামির সোহাগ।
তবুও পাগলীটা মা হবে।
রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌবনের চাহিদা মিটালো তারা।
সে-দিন কেউ শুনেনি পাগলীর আর্তনাদ রাস্তার কুকুর ছাড়া।
পাগলী তো জানে না যৌবন কি?
তবুও পাগলীর অজান্তে গর্ভে এসেছে সন্তান।
পাগলীটা জানে না সন্তান কী?
তবুও পাগলীটা মা হবে।
পাগলী আজ তিন মাস, সাত-দিন,
বাচ্চার কান হয়েছে, চোখটা হবো-হবো।
শুনছে মায়ের কান্না, অভাগীর ক্রন্দন।
পাগলী আজ আট মাস, এক-দিন,
গর্ভে তার পরিপুষ্ট বাচ্চা, দেখছে মায়ের
কাতর যন্ত্রণা।
বাচ্চাটাও চাই পৃথবীর আলো দেখতে,
দেখবে সে মায়ের ভালবাসা।
জানবে না সে বাবা কে, কি তার পরিচয়?
তবুও পাগলী মা হবে।