ওই মেয়ে তুই চলনা
ওই পলাশপুরের প্রান্তরে,
একমুঠো রোদ কুড়াই
ভালবাসার অন্তরে।
ওই মেয়ে তোর তাড়া কিসের
এমন করে যাচ্ছিস যে,
ভালবাসার পথ টি ভুলে
কেন তুই লুকচ্ছিস রে।
আমি রাত্রির রজনীগন্ধা
ছুটে চলেছি অনেকটা সময়
ধরে রাত্রির আঙিনায়।
ভালবাসার গল্পটা আমার
পাতায় লেখা হয়ে ওঠে নি,
শৈশব থেকে আমি নিঃস্ব,
. ..... আমি দুর্বল
আমি পতিতালয়ের গণিকা।
ওই মেয়ে তোকে লাল বেনারসী শাড়ী,
পায়ে আলতা, চোখে কাজল,
কপালে লাল টিপে করবো তোকে বিয়ে,
ওই গোপালপুরের মন্দিরে তে গিয়ে।
সিঁথি তোর সিঁদুর দিয়ে রাঙিয়ে দিয়ে,
করবো তোকে আমার স্বপ্নের অর্ধাঙ্গিনী।
ওই মেয়ে তুই পালাস কেন?
শোন না আমার হৃদয়ের অনুরাগের গীত।
এই মহানগরী তে আমি পতিতা,
ঘৃণ্য ভরা চোখে মানুষের কাছে
আমি রাতের রজনী, আমি নির্লজ্জ।
দিনের আলোয় সমাজ আমাকে
মেনে নিতে পারবে না,
পারবে না আপন করে ভালবাসতে।
ওই মেয়ে তোর ভয় কিসের?
যে সমাজের বুকে তোর ভয় লুকিয়ে আছে,
ওই সমাজ থেকে বেরিয়ে অনেক দূরে,
পালিয়ে যাব তোর হাত ধরে।
সেখানে এক চলা ঘরে তুই আমি বাসা বাঁধবো,
ভালবাসা গান গাইবো।
আমাদের একটা মেয়ে হবে,,
তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখব আমরা,
আর অনেক বড় করবো আমরা।
চলনা মেয়ে পালিয়ে যায়।
কথাগুলো বড়ই শুনতে ভাল লাগে,
ওই সিনেমার পর্দায় ঘটে
থাকে রোমান্টিক দৃশ্যে।
আর বাস্তব জীবন টা অনেকটা আলাদা,
এই পতিতা লয়ে পা দিলে
আর ফিরা হয়ে ওঠে না,
তোর মতো অনেক আসে,
আবার চলেও যায়,
কিছু দিনের ভালবাসার
.... মোহ কাটিয়ে,
আবার ফিরতে হয় বেশ্যাবৃত্তিতে।
থাকনা এমন ভালবাসার
.. কথা না বললি আর,
যাত, যা, তোর মতো অনেক দেখলাম,
বিদায় হ এখান থেকে,।