ত্রাসিত
ইন্তিখাব আলম
ধরণীর বুকে অস্পষ্ট ঝোড়ো হাওয়া বইছে,
আলো আছে তবুও কৃষ্ণকায়।
বাতাস আছে কিন্তু ঝাঁঝালো,
জীবন্ত মনুষ্যজাতি আজ মৃতপ্রায়।
মানুষের ক্রিয়াকলাপে দেবতারা শঙ্কিত, তাই
ধরণীর বুকে দেবতারা আসতে আজকাল ভয় পায়।
দেবতারা যে স্বপ্নের ধরণী গড়ে তুলেছিলো,
যেখানে সুন্দরতায় ভরপুর ছিল অপরিসীম।
নিজস্ব স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলছে প্রতিটি জীর্ণদেহ।
বিভিন্ন সম্প্রদায় যুক্ত মানুষের অস্তিত্ব ছিল না,
ওরা ভাই ভাই ছিল, একসাথে সংগ্রাম করে বেঁচে
থাকার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মানুষ ছিল ওরা।
সভ্যতার উন্নতির নামে মানবজাতির পরিবর্তন হয়েছে,
পরিপূর্ণ পৃথিবীকে ক্রমাগত ধ্বংস করে চলেছে সংগ্রামের নামে,
পৃথিবীর ভৌগোলিক রূপ অবিরাম গতিতে, পরিবর্তিত করে,
আধুনিক সভ্যতায় প্রস্তুত করার নামে, ধ্বংসের মুখে, এগিয়ে দিচ্ছে প্রতি পদে পদে।
অস্তিত্বের সংগ্রামে মানুষ নিজস্ব সতীত্ব হারাচ্ছে,
পৃথিবীর গতিশীল মানুষ উন্নতির শিখরে,
বিপর্যয়ের অভিমুখে হাতছানি দিয়ে পরাজয়কে ডাকছে।
ভগবান, আল্লাহ, গড, আপনি যায় বলুন না কেন?
ওরা মানব সভ্যতার প্রতিপদে রুষ্ট।
ধরণীর কুণ্ডলীতে কুয়াশার সমন্বয়ে,
গাঢ় অন্ধকার বেষ্টিত ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন।
নীল পৃথিবীর সুন্দর দৃশ্য মেঘাচ্ছন্ন,
আর
মেঘের আচ্ছাদন ভেদ করে অস্পষ্ট পৃথিবীর দিকে,
তাকিয়ে দেবতারা কেঁদে ফেলছে পুনঃপুনঃ।
ধৈর্যের উষ্ণতা ভেঙে,
আপনার ভগবান, আপনার আল্লাহ, আপনার গড, কুয়াশায় আচ্ছন্ন পৃথিবীকে,
আবার নতুন ভাবে সজ্জিত করবে ,
আর মানবজাতি দ্বারা প্রতিনিয়ত ধর্ষিত পৃথিবী,
ফিরে পাবে নিজের সতীত্ব, অস্তিত্ব, সুন্দর রূপ।