নবনীতা জানে আজকের দিন টা রাখি বন্ধনের দিন।
বোন ও ভাইয়ের ভালোবাসা ফুটে ওঠে এই প্রবিত্র দিনে।
নবনীতা জানে আজ দাদা ভাইদের শপথের দিন,
তারা সারা জীবন তাদের বোনের রক্ষার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে।
কিন্তু নবনীতা চিন্তায় মগ্ন, মন ভালো নেই,
সে জানে প্রতিটি দেশবাসী ভাইবোনের সম্পর্ক।
সেই সম্পর্কের মধ্যে চিঢ় দেখা গিয়েছে,
প্রতিটি দেশবাসীর মধ্যে অটুট বন্ধন বিঘ্নিত।
অসহিষ্ণু পরিবেশ সৃষ্টি করে, ধর্মের নামে মানুষের
মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করছে।
পবিত্র রাখির দিনে নবনীতার মন ভালো নেই,
সে ইতিহাস পড়েছে, রাখি উৎসবের বর্ণনা তার জানা।
কৌরবদের হাতে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সময়,
বাঁচিয়েছিল ভগবান শ্রী কৃষ্ণ।
পাণ্ডবদের স্ত্রী দ্রৌপদী শাড়ির আঁচল ছিঁড়ে
ক্ষত কৃষ্ণের হাত বেঁধে দিয়েছিল আত্মীয় সম্পর্ক ছাড়ায়।
সেদিন ভাই হিসেবে বোনের কাছে প্রতিদান দিয়েছিল।
আলেকজান্ডারের স্ত্রী রোজনা রাখির পবিত্র সুতো পাঠিয়েছিল রাজা পুরুকে।
যেন পুরুর দ্বারা আহত না হয়, রোজনার নৃপতি ।
রাখির মর্যদা রাখতে রাজা পুরু ঝিলামের যুদ্ধে আঘাত হানি নি, আলেকজান্ডারের প্রতি।
এই রকম অনেক ইতিহাসে কাহিনি নবনীতার সঙ্গে পরিচিত।
বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় আমার দেশ অসহিষ্ণুতায় পরিপূর্ণ,,
তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেরণায় প্রতিটি সম্পাদয়ের মানুষের মধ্যে রাখি উৎসব, আহবান করেছিল।
দেশবাসীর প্রতিটি ভাই, বোন সে উৎসবে সাড়া দিয়েছিল, ও তাদের মধ্যে একতা এনে দিয়েছিল।
নবনীতা অতীততে কথা চিন্তায় মগ্ন, ভাবছে আমার
দেশ অসহিষ্ণুতায় আবার দেখা যাচ্ছে,।
প্রশ্ন করা হচ্ছে, হিন্দু মুসলিম, পারসিক না শিখ,
অবার প্রতিটি সম্পাদয়ের মানুষ , পবিত্র রাখি উৎসবে একতা লাভ করুক।
কেউ আবার নতুন করে ডাক দিক রাখি উৎসবে,
নতুন ভাবে রাখি উৎসবের মাধ্যমে, দেশের প্রতিটি প্রান্তে, জানিয়ে দিক আমরা সবাই ভাই, বোন।
আর আমরা একই সুতোই বাধা।