হঠাৎ করে বাসের পশ্চাৎ থেকে ভেসে এলো সেই পূরানো চেনা কন্ঠ,
একবার উঁকি দিয়ে দেখার ইচ্ছা হলেও, ভাবলাম মনের ভ্রান্তি।
সেই তোমার বসন্তের বিকালের বাঁকা চাঁদের হাসি,
যে হাসির সুখ দুঃখের ভাগীদার ছিলাম আমি কয়েকটা বছর আগের বসন্তে।
ঢং ঢং করে বেজে উঠলো মনের মধ্যে তোমার সেই পূরানো চাঁদপানা মুখের হাসি।
শরীরের প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়ে উঠলো,
নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না, পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলাম সেই তুমি ঠিক আগের মতোই আছো।
কিছুটা বদলা বদলা চেহারা, চুলের বাহার আগের মতো নেই, সেই বক বক করে কথা বলার ধরন আজও পাল্টায়নি।
তোমাকে বেশ মানিয়েছিল তোমার ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে।
লুকিয়ে লুকিয়ে আড় চোখে দেখে বুঝলাম, তুমি পূরানো স্মৃতি ভুলে ভালই আছো।
হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠলো, অনেক পূরানো রিংটোন তোমার সেই ছোটো কবিতা টি,আমাকে নিয়ে লেখা, আমার জন্মদিনে তুমি উপহার দিয়েছিলে।
ফোনটা ধরতেই তোমার গলার সুর ভেসে এলো, এই তুমি এখানে কি করছো,
আমি বললাম, একটা কাজে এসেছি , এবার আমায় নামতে হবে, পরে কথা হবে।
বাস থামিয়ে নেমে পরলাম, মাঝ রাস্তায়।
সময় সন্ধ্যে ৬ টা ০১, তারিখ -০৬/০৩/২০১৭