নারী ভুলেছে আজ হস্তিনাপুরের রাজদরবারের দ্রোপদীর বস্রহরণের আখ্যায়িকা।
দুঃশাসনের হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য দ্রোপদীর আর্তনাদ।
ভুলেছে নারী পূন্যবতী নারী সীতার সতীত্বের অগ্নিপরীক্ষা।
সেই নারী আজ খুলেছে নিজের বস্ত্র নিজ হস্তে,
নোংরা পোশাকে, অর্ধ-উলঙ্গ হয়ে অন্তরায় মেতেছে নাটকীয় নৃত্যে।
তুলে নিয়েছে দুঃশাসনের হাত থেকে স্কচ , হুইস্কি আর ব্যান্ডির বোতল।
এটাই নাকি নারী ট্রাজেডি, নারী আজ আধুনিক যুগের আধুনিকা।
নারী ভুলেছে আজ মায়ের মাতৃত্ববোধ,
ছোট্ট শিশুর মুখে তুলে দিয়েছে দুধের কৌটা।
শিশুটিকে এক বদ্ধ ঘরে রেখে, কালো চশমা চোখে, ছেঁড়া জিন্স পড়ে নাইট ক্লাবে বন্ধুর জন্মদিনে।
উন্মাদ ডান্সে ক্লান্ত মদ্যপ নারী, হাতে সিগারেট, স্খলিতপদে ফিরেছে রাত দুপরে।
শুনতে পায়নি একফোঁটা বুকের দুধের জন্য রেখে যাওয়া সেই শিশুর ক্রন্দন।
এটাই নাকি নারীর ফ্যাশন, নারী আজ হয়েছে যুগের আধুনিকা।
ভুলেছে নারী বেনারসি শাড়ি, সিথির সিঁদুর, মাথার ঘোমটা,
ভুলেছে স্বামির সোহাগ, হয়েছে পরপুরুষের সজ্জা সঙ্গিনী, কোন এক নির্জন ফ্লাটে।
ফেলেছে বুকের ওড়না,দেখে আজ বিস্মৃত বাঙালি।
নারী ভুলেছে বাঙালি সংস্কৃতি, নিজেকে অঙ্কিত করেছে পাশ্চাত্য সভ্যতার রমণী।
নারী সত্যিই আজ আধুনিক যুগের আধুনিকা।
হে নারী এসেহে ফিরে এই বঙ্গ-ভান্ডারে, বাঙালির নীড়ে,
লাল রাঙা শাড়িতে, কপালে লাল টিপ, কানে ঝুমকো , পায়ে নূপুর পরে, বাঙালির সাজে।
নারী তুমি হও আধুনিকা, শুধু বাঙালির আধুনিকা।