পেশায় সাংবাদিক
ইন্তিখাব আলম
ওই যে শুনছেন, আপনা কেই বলছি,
হা আপনা কেই তো দেখেছি হাতির মৃত্যুতে প্রতিবাদ করতে।
আপনা কেই দেখেছি সেলিব্রিটির মৃত্যুতে ঝাঁপিয়ে পড়তে।
কিন্তু আপনি কি দেখেছেন দুই মেয়ের সামনে
বাবাকে গুলির আঘাতে ঝাঁঝরা করে দিতে।
হা আপনা কেই বলছি, মেয়ে দুটির কথা ভাবতে পারছেন,
চোখের সামনে নিজের বাবাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে,
এলোপাথাড়ি মারধর করতে করতে হঠাতি গুলির শব্দে নেতিয়ে যাওয়া,
ওই দিকে মেয়ে দুজন ভয়ে, আতঙ্কে রাস্তার মধ্যে ছুটাছুটি করছে।
হামলাকারীরা চলে যেতেই মেয়েরা এসে দেখল,
তাদের বাবা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।
তাদের আর্তনাদ আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে।
অবশেষে তারা দেখল বাবার যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু।
হা উনি একজন পেশায় সাংবাদিক।
তার অপরাধ ছিল ভাইঝির হেনস্তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা।
আপনি বলুন গণতন্ত্র কোথায়? আইন শৃঙ্খলা কোথায়?
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দেখে গোদি মিডিয়াদের ঝাঁপিয়ে পড়া। ওই মিডিয়া গুলি কোথায়?
এই সব গোদি মিডিয়াদের তীব্র ধিক্কার।
ধিক্কার আপনাদের, অসহায় মেয়েদের কান্না,
আপনাদের কানে পোঁছায় না।
জানিনা কত অসহায় সাংবাদিক, কত অসহায় মানুষকে , মৃত্যু হতে দেখবো।
এই অরাজকতা কবে শেষ হবে?
আর একটি সুন্দর সকালের স্বপ্ন দেখবো।