আমি সেই মেয়ে (প্রথম অংশ)
অভাগীর কোলে,
জীর্ণ কুটির ঘরে,
জন্ম নিয়েছিলাম
"আমি সেই মেয়ে"।
দুর্বল অভাগীর বুক চিরে,
হয়নি প্রবাহিত দুধের স্রোত ।
বুঝেনি কী স্বাদ আছে,
ওই অভাগীর বুকের দুধেতে,
"আমি সেই মেয়ে"।
ছুটেছে অভাগী দুধের খোঁজে,
মানুষের দ্বারে-দ্বারে,
ব্যর্থতায় ফিরে এসে করেছে আদর।
কেঁদেছি আমি, কেঁদেছে অভাগী
দেখেছি অভাগীর বুকের ক্রন্দন,
"আমি সেই মেয়ে"।
ছোটবেলায় খেলেনি পুতুল খেলা,
ছিলনা খেলার সঙ্গী অভাগীর কোল ছাড়া।
কত রাত কেটেছে রাতের অন্ধকারে,
কত দিন গেছে অনাহারে,
তার তো কোন হিসাব রাখেনি ,
"আমি সেই মেয়ে"।
তখনো আমি, অভাগীকে মা বলে ডাকেনি,
শেখেনি ঠিক ভাবে বসতে।
বসিয়ে দিল অভাগী , ল্যাম্পপোস্টের নীচে,
ভিক্ষার ঝুড়ি হাতে দিয়ে,
"আমি সেই মেয়ে"।
ভিক্ষার ঝুড়ি নিয়ে ঘুরেছি কত,
কখনো রেল- স্টেশনের টিকিটের লাইনে,
কখনো বাস-স্টপের গলিতে।
কেউ-বা দিয়েছে একটাকা, কেউ-বা দিয়েছে দুইটাকা,
কেউ-বা ছুঁড়ে ফেলেছে রাস্তায়।
দিনের শেষে যা পেয়েছি,
কিনেছি কত খাবার।
আমি আর অভাগী জড়িয়ে ধরে খেয়েছি সে খাবার,
"আমি সেই মেয়ে"।