আমি পৃথিবীর বুকে হেঁটে চলেছি অনন্তকাল ধরে,
জীবিত লাশ রূপে।
কত বর্ষ আমি ক্ষুধাতুর, ঘর হীন,
পথ আমার চলার পথের সঙ্গী, আমি পথ যাত্রী,
ফুটপাত আমার ঘর, রেল স্টেশন আমার বাড়ি।
পাহাড়ের পাদ দেশে কাঙ্গাল শিশুটি
যাকে রোজ খাবারের জন্য ছুটতে হয়,
সেই অসহায় বালক শিশুটি আমি।
প্রতিদিনের মতো বেলা শেষে আমি ক্লান্তি হয়ে
খোলা আকাশের নীচে
ফুটপাতের বিছানায় আমি শায়িত।
সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত্রি, কুয়াশার মধ্যে চাঁদ
আর মেঘের লুকাচুরি
দেখতে দেখতে ঘুমের দেশে।
দুপুর রাতে হঠাৎ একটা ভয়ঙ্কর শব্দে নিদ্রা ভেঙে গিয়ে মনে হলো স্বপ্নের জগতে আহরণ করছি।
আকাশের বুকে আতশবাজি মেঘ,
আকাশ সেজেছে রামধনুর সাতটি রঙে, ফোট কার শব্দ, বিভিন্ন দিক থেকে ভেসে আসা গানের সুর,
অসুর আর মানুষের চিৎকার হ্যাপি নিউ ইয়ার।
শব্দের সুর আমার কর্ণে হাতছানি দিচ্ছে,
ভাবিয়ে তুলছে আমি অসহায় পথ যাত্রী।
নব সূচনায় ভূয়সী প্রেরণা জাগে অন্তরে
আগামী ভোরের নতুন সূর্য টা দেখব বোধহয়।
সময় বয়ে চলে, প্রতিদিন নতুন সংগ্রামে,
নিয়োজিত করি বেঁচে থাকার লড়ায়ে ।
হাজার বাজি র শব্দে, আকাশের ঝলমলে আলোয়,
হঠাৎ বুঝে উঠে আরেকটা বছর পেরিয়ে গেল।
নতুন বছরে সকালে পুরানো চায়ের দোকানে ,
শিশু শ্রমিকের খাতায় নামটা আবার পুনরুজ্জীবিত হয়।
প্লাস্টিকের খোঁজে আবার শহরের ডাস্টবিনে,
নিজেকে নতুন ভাবে পুরানো অভ্যাসে নিয়োজিত করি।
ঘুমিয়ে থাকা সমাজ নতুন করে জেগে উঠে,
ভাবে এই নতুন বছরে নতুন কিছু করবে সমাজের জন্য।
তার পর আবার ঘুমিয়ে পরবে, কালের নিয়মে
দিন আসবে, রাত্রি যাবে, এইভাবে আরেক টা,
নতুন বছর হাতছানি দিয়ে ডাকবে।
এইভাবে চলতে থাকা জীবনে পরিবর্তনের খোঁজ,
নতুন বছরে প্রার্থনায় আরেক বার হ্যাপি নিউ ইয়ার।