"আমি তোমাকেই বলছি",
না -না আমি সারা ধরণীর জাগ্রত মৃতপ্রায় মানুষদের বলছি,
মানবতা কোথায়, মানবতা কে কেউ কি লুকিয়ে রেখেছে ?
আমি তার খোঁজ করছি,
যদি কেউ খুঁজে পাই আমাকে বলবে।
আমি তার কাছে জানতে চাইবো -
আমি রোহিঙ্গা মুসলিম অথবা আমি রোহিঙ্গা হিন্দু বলে আমার শরীরের ক্ষত দেখে তুমি ভীত,
না মুখোস আড়ালে লুকিয়ে থেকে আমাদের ওপর হয়ে যাওয়া অন্যায়ে তুমি আনন্দিত।
আমি বেশ বুজতে পারছি তুমি বেশ মজাই আছো।
আমি রোহিঙ্গা বলে, যদি তোমার মানবতা জেগে ওঠে,
তাহলে জাতিসঙ্ঘের জাতিসত্তা নষ্ট হবে,
তাই মানবতা তুমি নীরব।
আমি এইরকম জাতিসঙ্ঘের জাতিসত্তা , আর মানবতা তোমায় এক বাক্যে ধিক্কার জানায়।
সু-চির কাছে বৌদ্ধের বাণী আজকে অচেনা, বৌদ্ধমতে একটা মশা মারা পাপ,
সেখানে বৌদ্ধরা রক্ত পিপাসায় মেতে উঠেছে।
তিনি নাকি শান্তির জন্যে নোবেলজয়ী,
যেখানে তার শান্তির অর্থ জানা নেই।
শিশুদের আর্তনাদ , নববধূর চিৎকার,
আকাশে ভেসে আসা জীবান্ত মানুষের পোড়া গন্ধ,
বৃদ্ধা মায়ের সামনে মেয়ের ধর্ষণ,,
ঘরহীন মানুষেরা আশ্রয়ে এর চেষ্টা ।
মানবতা তুমি কি তা দেখতে পাচ্ছো না, এদের দুরবস্থা।
এদের জন্যে কি শহরে শহরে মোমবাতির মিছিল হবে না।
মৃত রোহিঙ্গাদের আত্মা শান্তির জন্য কেউ কি প্রার্থনা করবে না।
কেউ কি বলবে না " প্রে ফর রোহিঙ্গা "(pray for rohingya)
বিশ্ব-মানবতা তোমার কাছে কাকুতি অনুরোধ আমার, তুমি জেগে ওঠো।
বিশ্বের প্রান্তরে তুমি তাকিয়ে দেখো, ধর্মের নামে চলছে নৃশংস হত্যার খেলা।
কোথাও বলি হচ্ছে হিন্দু, কোথাও মুসলিম,কোথাও অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ।
ধর্মের নামে ছড়িয়ে পড়ছে পৃথিবীর প্রান্তরে প্রান্তরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।
আর নয়, মানবতা এবার তুমি চিৎকার করে বল আর ধর্মের নামে আর ধর্মযুদ্ধ নয়।