সভ্যতা এগিয়ে চলেছে, শিক্ষার হার ক্রমাগত উন্নতির শিখরে।
মানবসভ্যতার ভাষা, রুচি, বিবেকবুদ্ধির পরিবর্তন হয়েছে,
বদলায়নি মানুষের মনের মধ্যে গেথে থাকা বৈচিত্র্য, অর্থলিপ্সা, লালসা।
আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে, আজও অধিষ্ঠিত প্রাচীন সভ্যতার পণপ্রথা।
হায়রে সমাজ, কি আছে এই পণপ্রথায়,
মেয়ে দিবে, টাকা দিবে, গাড়ি দিবে, আবার ঘর সাজিয়ে।
বিদঘুটে এই নিয়ম যেন কে করেছিল সৃষ্টি,
নিশ্চয় সে বাবার কাছে মেয়ে ছিল কার্তুজ।
ছেলের বাবা ছিল অর্থলোভী, জোচ্চোর, নিম্ন মনের ব্যাক্তি।
আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে করবো কাকে দোষী,
ছেলে না মেয়ের বাবা, পাত্র না পাত্রীর।
সে শিক্ষিত হোক কিম্বা গ্রামের এক কোন চাষা প্রবৃত্তির মানুষ প্রত্যেকে,
অগ্রগতির ধারায় মৃগয়া হয়ে ছুটছে পণপ্রথার পশ্চাৎপটে।
পণের কারনে হাজারো গৃহবধূ মৃত্যুর দিকে ছুটে চলেছে স্বপ্নে দেখা স্বর্গের খোঁজে।
নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অজস্র ভ্রুন, থেকে গেছে স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে অসহ্য, লোক দেখানো সম্পৃক্তি।
সাম্প্রতিক অব্দে দাঁড়িয়ে কাকে দায়ী করবো,
ছেলের বাবা না মেয়ের বাবা, পাত্র না পাত্রী।
বুদ্ধিজীবী মহল থেকে রাজনৈতিক মহল,
শিক্ষক থেকে কলেজের নতুন নেতা,
রঙ্গমঞ্চে মাতিয়ে দেয় পণপ্রথার বিরুদ্ধে।
নতুন করে জাগিয়ে তুলে সমাজকে,
আর নয় পণপ্রথা এবার রুখে দাঁড়াতে।
মিথ্যা আর কলঙ্কিত ভাষণে সন্তুষ্ট মানুষ
ঘরে ফিরে ভুলে যায় রঙ্গমঞ্চের নাটকীয় দৃশ্য
।
হায়রে সমাজ, সেই বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক, শিক্ষক থেকে ব্যারিস্টার ব্যস্ত সবাই মেয়ের জন্য কিনতে বর।
মেয়ের জন্য সুখ কিনতে গিয়ে ভুলে যায় তারা,
পণপ্রথা এক অন্যায় আবদার।
চাকরী ছেলে চাই মেয়ের, তাই এনে দিল দামি বর,
দেখাল বাবা অনেক স্বপ্ন বর বাবাজি কে,
প্রতিশ্রুতিরূপে দশ ভরী সোনা, চার চাকা গাড়ি, তার সাথে দুই লক্ষ টাকা।
মেয়ে চলল নাচতে নাচতে সংগ্রামি হতে,
কষ্ট আর গ্লানি নিয়ে মেয়ে থাকে সুখে।
শিক্ষিত ছেলে চাই শিক্ষার খরচের টাকা,
পাত্রী যেমন হোক, চাই তার অর্থমূল্য।
এসেহো বন্ধু, এবার জেগে ওঠি এই মানবসভ্যতায়, গাহি সততার গান।
আর নয় পণপ্রথা, এবার রুখে দাঁড়াবো
অগ্রগতির দূত হয়ে।
নিজেকে স্বাধীন করো পণপ্রথা থেকে,
মুক্ত করো নিজেকে অসৎ পথের হাত থেকে।
চিৎকার করে বলো আমারাও পারি নারীদের দিতে সম্মান।