আমি দেখেছি গুজরাট দাঙ্গায় গর্ভবতী মায়ের,
পেট ছিঁড়ে শিশুকে কে তলোয়ার দিয়ে ক্ষত বিক্ষত হতে।
বাজি ভর্তি আনারস খেয়ে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যুতে প্রাণ কাঁদলে ও ঘটনা গুলি স্বাভাবিক মনে হয়।
আমাকে নিষ্ঠুর হৃদয়ের মানুষ বললেও আমি অবাক হবো না।
অবাক হবো না আমেরিকার শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে,
কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের বর্বর মৃত্যু ।
উত্তরপ্রদেশের আখলাখ কিম্বা সুবোধ কুমার সিংহ,
মব লিচিংএ অসহায় ভাবে মৃত্যুর অভিজ্ঞতা আছে।
রক্তাক্ত হাতির মৃত্যু দেখে যন্ত্রণায় কাতর পশুপ্রেমিদের, প্রেমের উদয় হলেও,
প্রতিবাদী জামিয়ার মেয়ে, গর্ভবতী সফুরা জারগর,
অন্যায় ভাবে জেলে, আটকে রাখা দেখেও,
মনুষ্যত্ব তাদের কাঁদে না।
আমি সৎ সাহসী পত্র কার গৌরী লংকেশকে দেখেছি,
আবার কোন এক চ্যানেলএ প্রকাশিত হয়েছে, রোহিত ভেমুলার মৃত্যু সংবাদ।
আমি মৃত্যু দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছি,
তাই এই নিথর প্রাণটা নতুন করে কেঁদে ওঠে না।
কখনো রাজস্থানের পেহেলু খান
বা কখনো ঝাড়খন্ডের তারবেজ আনসারি,
অথবা মহারাষ্ট্রের পালঘরে সাধু হত্যা,
সব ঘটনা গুলি স্বাভাবিক, ধর্মের গন্ধ খুঁজে পায়।
ধর্মের গন্ধ খুঁজে পায় ধর্ষণে, অথবা দলিত হত্যায়,
ছোট্ট মেয়ে আশিফা থেকে উন্নাও রেপ কেশ,
রাজনীতি ও ধর্মের খেলা সবটাই দেখা।
অন্তঃসত্ত্বা হাতি বা ফ্লয়েডের মৃত্যু অস্বাভাবিক,
কোনো ঘটনা নয়, সব স্বাভাবিক ব্যাপার।
আসাম, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দেশ থেকে বিদেশ সর্বত্র চলছে মৃত্যুর খেলা।
মানুষের মৃত্যুর মিছিল চলছে, রোজ প্রতিনিয়ত,
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে র কাছে মৃত্যু গুলি গতানুগতিক,
সব মৃত্যুই গুলই যেন স্বাভাবিক।