অসভ্য মানবতা চাক্ষুষ দাঁড়িয়ে আছে,
এই উলঙ্গ সমাজের বুকে, উলঙ্গ রাজার পাশে।
ভগবান, আল্লাহ দোহায় দিয়ে,
নিস্তেজ করে দিয়েছে এই সভ্যতার সততা কে।
ধর্মের নামে, গোত্রের নামে রাজনৈতিক মহল
তুলে ধরছে সমাজের বুকে হিংসার রাজনীতি।
নিউজ চ্যানেলের ডিবেটে বিদ্বেষে ভরাডুবি,
ধর্ম, মন্দির, আর মসজিদ, মোল্লা আর চাড্ডী।
দেশ প্রেমের সার্টিফিকেট বিতারণে ব্যতিব্যস্ত,
সিনেমার নায়ক নায়িকারা থেকে ভুয়ো ধর্ম রক্ষীরা।
কতটা ধার্মিক? পরিচয় দিতে রাজ নেতারা
আজ মন্দির আর মসজিদে।
আমরা নাগরিক, আমরা দেশ গড়ার কারিগর,
আমরা যুবসমাজ, অচলায়তনের দরজায়।
অন্ধকার দেখছি, অন্ধকারকে বিশ্বাস করছি,
সাবাস সাবাস বলে অন্ধ ভক্তের মতো,
নেতাদের ভাষণে, ধর্মের ডিবেট হাততালি দিচ্ছি,
হয়তো বা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ।
এরা ধর্মের কথা বলে, উন্নতির কথা বলে না,
এরা ভাঙার কথা বলে, একতার কথা বলে না।
এরা রাম, রহিমের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে,
কিন্তু বলে না,এরা একই মায়ের দুই সন্তান।
এরা দেখে না নামাজ আদায়ের সময় মাতৃভূমি কে
চুম্বনের সুন্দর দৃশ্য।
এরা দেখে না পূজোর সময় মাথা নত করে মাতৃভূমি কে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেওয়ার দর্শন।
এরা দেখে ধর্মের নাম করে ভোটব্যাংকের অঙ্ক।
অশিক্ষিত নেতা মন্ত্রী দেশকে পিছনে ঠেলে দিতে
পিছুপা হবে না, নিজ স্বার্থ পূরণের উদ্দেশ্যে যখন নির্দিষ্ট ।
দেশের অভ্যন্তরে ঘটে চলা হিংসা, বিদ্বেষ, উত্তেজনা,
কৃষক মৃত্যু, সাধারণ মানুষের অধিকারের মিছিল,
মিডিয়া থেকে সিংহাসনে বসে থাকা মন্ত্রীরা তখন অন্ধ সেজে পাশ কাটিয়ে গিয়ে ধর্মের ডিবেটে উপস্থিতি।
সামনে দেখো কোটি টাকা দিয়ে তৈরি রাজনৈতিক
মঞ্চে নেতাদের ভাষণ, চেষ্টা করো বুজতে ওটা
রাজনৈতিক মঞ্চ না ধর্মীয় মঞ্চ?
যদি তোমার মনের স্বত্তা জীবিত থাকে,তুমি বুঝতে পারবে না, ওটা রাজনৈতিক মঞ্চ না ধর্মীয় মঞ্চ।
রাজনৈতিক মঞ্চে ধর্মীয় ভাষণ, বা ধর্মীয় মঞ্চ থেকে
অন্য ধর্মের প্রতি, হিংসা, বিদ্বেষ মূলক ভাষণ ভাবিয়ে তুলবে তোমাকে।
আর সামনে দাঁড়িয়ে ওরা অন্ধ ভক্ত,
অবাক হবে দেখে তারা মিথ্যা ভাষণে খুশি হয়ে হাততালি দিচ্ছে।
আর ঘুমিয়ে থেকো না বন্ধুবর, বিবেক বুদ্ধি কে জাগ্রত করে জেগে ওঠো,
জাগার সময় এসেছে এবার বিপ্লবের গান গাইতে হবে দেশের জন্য, কৃষক দের জন্য, অসহায় লাঞ্ছিত
দলিত, গরিব, পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য।