তুমি জিজ্ঞাসা করো না, আমার ধর্ম কি?
আমার কি জাত আছে?
আমার ধর্ম বিশ্বাসে তুমি আঘাত হেনো না,
আমার ধর্ম আছে আমার অন্তরে, আমার সততার মধ্যে।
আমি দেশ কে ভালোবাসি,  আমার দেশের প্রতিটি মানুষ কে ভালোবাসি।
দেশের প্রতিটি প্রান্তরে থাকা মানুষগুলো কেউ আমার মা, কেউ আমার বোন, আমার ভাই।
তাদের মধ্যে আমি কোন ধর্মের খোঁজ করি না,
খোঁজ করি মনুষ্যধর্ম, বিবেকবোধ আর মানব জাতির প্রতি অনুরাগ।

আমি আমার মনুষ্যধর্ম জাগ্রত  করেছি,
এবার তোমার পালা, তোমাকে জাগ্রত হতেই
হবে।
আর নয় অন্ধকারের বুকে, এবার ধর্মের গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে।
মানুষের মধ্যে সহিষ্ণু র বাণী পোঁছে দিতে হবে,
বুঝিয়ে দিতে হবে আমরা মানুষ, আমরা মৃত নয়।
ধর্মের নামে  হিংসার আগুন আর নয়,
মনুষ্য বোধ, বিবেকবোধ কে অতন্দ্র করে তোলো,
দেখবে ওরাও মানুষ, তোমারেই জাত ভাই।

কিছু অসাধু চেহারা  নিজ স্বার্থের সন্ধানে,
তোমার বিবেকবোধ, মনুষ্যত্ব বোধকে,
ধর্মের খাঁচায় বন্দি  করে ধর্মভীরু তে পরিণত করেছে।
তোমাকে বলে দেওয়া হয়েছে তোমার ধর্ম আজ সঙ্কট ময়,
তোমার ধর্ম তোমাকেই রক্ষা করতেই হবে।
তাই তুমি আজ ভিতু, আর নিজেকে করে তুলেছ ধর্ম রক্ষক।
ওই স্বার্থান্বেষী চিরাচরিত ভদ্র মানুষ গুলি,
তোমার বিচার বুদ্ধির ক্ষমতার এমন ভাবে ধৌত করণ করেছে,
তুমি ধর্ম রক্ষক নামে ভক্ষকে পরিণত হয়েছ।

তুমি নিজেকে নিয়োজিত করেছ ধর্ম রক্ষা র সৈনিক,
তোমার ভুল ঠিক ভাবার ক্ষমতা লোপ পেয়েছে।
তোমার মানবতা বোধ  হারিয়েছে, তুমি মানুষ থেকে মৃতপ্রায় মানুষে পরিণত হয়েছ।
তুমি মানুষকে ভালবাসতে ভুলেছ,
তোমার মধ্যে হিংসার বাণী  সঞ্চারিত হচ্ছে।
তুমি ভুলে গেছো তুমি মানুষ,  তোমার মন আছে,
তোমার ভালোমন্দ বুজবার ক্ষমতা আছে।
তোমার কাছে ধর্মের অর্থ আজ অজানা।

যেখানে তোমার ধর্মকে জানার আগ্রহ নেই,
তুমি ক্ষিপ্ত, তুমি উন্মাদ, তুমি ধর্ম সৈনিক।
তোমাকেই বলা হয়ে ওঠে নি  ধর্ম মানুষকে,
ভালবাসা, বাঁচার কথা বলে।
তোমাকে বলা হয়নি, ধর্ম মানুষকে অন্য ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে বলে, সম্মানে র কথা বলে।
তুমি ওই মুখোশ ধারী  অসাধু চেহারার বাণী কে, ধর্ম বাণী হিসাবে মেনে নিয়েছ।
এবার চোখ খুলো বন্ধু, চেয়ে দেখো সভ্যতা এগিয়ে চলেছে, তুমি নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলো।
ধর্মের গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে মানুষকে প্রেমের ভাষা বলো, মানুষকে আপন করে নাও।
নিজেকে নিয়োজিত করো মানব প্রেমে,
তোমার ধর্ম হোক মানবধর্ম।