১)
কেমন লিখি আমি
খুব খারাপ... বাজে জঘন্য বা মোটামুটি,
বুঝিনা তাই আজও..
এই মুহূর্ত অবধি লিখে চলেছি নির্বিচারে,
কিছু হাই-পিচ মেলোড্রামায় আবেগের ছড়াছড়ি..
ঘুরে ফিরে সেই অচিনপুর, তেপান্তর ও তিন্নি কে নিয়ে আসি..
প্যানপ্যানানির সারাক্ষণ,
কী করব এর বাইরে কিছু পারি না
২)
মনে পড়ে প্রথম যেদিন লেখা শুরু করলাম
সবার উষ্ণ অভ্যর্থনায়; অভিনন্দনে নিজেকে
সত্যি মনে হয়েছিল 'Top Of The World' বা
সত্যি খুব দারুন লিখিয়ে আমি....
তখন কাশফুলের রাস্তা দিয়ে শরতের নীল আকাশে
স্নিগ্ধ বাতাসের সমীরণে ক্লান্তিহীন শরীরে
ছুটছিলাম,
তারপর হটাত্ , দৃশ্যপটে কেমন ছায়ারুপি পরিবর্তন
ঠাই নিলো...
কালো মেঘের সঞ্চারে আঁধারের অঙ্গুলীহেলনে
বর্ষণের তীব্র অধিকারে
চেনা পথ অচেনা হলো,
৩)
বৃষ্টি শেষে শ্যাওলায় পা পিছলে
আশ্রয়ে সুদীর্ঘ বৃক্ষতলে....বুঝিনি
ওটাই ছিল বিষবৃক্ষ,
আর কখনই কিছু ছিনে জোক আর গুবরের
আশ্রয় হলো এই শরীরটা হয়ত ওই বিষবৃক্ষ থেকে
বোঝা যায়নি,
তারপর কেন জানিনা শরীরে মেদ জমতে
শুরু করল...
মহাজাগতিক ধূলিকনায় নিজের চেনা বুক চেনা মুখ.....
চেনা শরীর আরও উজ্জ্বল দেখতে শুরু করল
আয়নার প্রতিবিম্বে,
দৌড়ানোর ইচ্ছে আপাত ইতি হলো;
হারিয়ে গেলো পুরানো আমিত্ব...
৪)
তবু পথের সারল্যে......কবিতার সরলতায়
সময়টা অভিনয় শেখায় নি.....
তাই বুঝি একদমই লিখতে শিখিনি;
হয়ত আর লিখব না বা আবার লিখবো
সেই দিন..
যে দিন চিনতে পারবো শরীরে আশ্রয় নেওয়া
ওই গুবরে ও ছিনে জোকদের
আর
এটাই আমার কনফেশন বা স্বীকারোক্তি ।