“কত সই, সই হয়, বলো কী করে বহু সই সই ?”
একই প্রশ্ন, তাৎপর্য পূর্ণ, করেছিলে তুমি পইপই
অভিধানে যখন নেই ‘সইত্ব’ – যেমন ‘সতীত্ব’
কেন করো শত প্রশ্ন, জেনে সইত্ব বর্জিত সত্য
কী এমন প্রশ্ন, যা সৈকত ভ্রমণে না করলেই নয়
উত্তর যার সংখ্যায় নয়, শুধু সম্পর্কে গভীর হয়
তবুও, কিসের ভয়ে অপচয় করো সব সম্পর্কের
কেন শত প্রশ্নে খোঁজো, এক অবকাশ বিতর্কের
...
তুমিই বলেছিলে, সমুদ্রসৈকত উপচে নানান সই
চাইলেই পাওয়া যায়, কি বেমানান কি মানানসই
তাই তো করে নিয়েছিলাম তোমাকে মনোনীত
হলেও, আমাদের সম্পর্কটা জটিল সুবাদ প্রণীত
কিন্তু কী হল সমুদ্রের ওই এলোমেলো হাওয়ায়
কী তুমি খুঁজলে, কী দেখলে সম্পর্কের ছলনায়
কেন আকাশে চমকাল ঝিলিকে, উদ্ধত অশনি
মূক শোকে নিঝুম হল ক্যাসুয়ারিনার মর্মরধ্বনি
কেন হাতে ধরা হাত তোমার নিথর হল খসে
চোখে কেন জল আনলে তপ্ত নোনা বাতাসে
আছড়ে পড়ে মুষল ঢেউ, কী অসন্তোষে খিন্ন
কেন মুছে দিল বালিতে পাশাপাশি হাঁটার চিহ্ন
ঘরে ফিরলাম সংকোচে, পঙক্তিতে সারিবদ্ধ
আলাদা হল মেলানো চোখ, বার্তা হল নিষিদ্ধ
রাত্রি কাটালে বিনিদ্র প্রহরায়, দূরত্বের প্রবাসে
প্রভাতে আয়না হল বাষ্পাকুল, অশ্রুর সকাশে
সেদিন তুমি ছেড়ে চলে গেলে, বদলে কামরা
শিরশিরে শিহরণে কুঁচকে দিয়ে আমার চামড়া
সরে গেলে ওই আস্তরণের নিচ থেকে চিরকাল
শুধু রেখে গেলে দেরাজে, অশ্রু ভেজা রুমাল
আমাদের নিপতিত সম্পর্কের ঐ শেষ চিরকুট
বলতে যা চেয়েছিলে, রয়েছে তাতে অস্ফুট
তার অশ্রুসিক্ত আর্দ্রতায়, সাগরের চেয়ে নোনা
তোমার অশেষ প্রশ্নটা, আমি কখনই ভুলব না
“বল, কত সই সই ?”
...
কী বলি –
সব পুরুষেই লুকিয়ে আছে মুখচোরা এক নুলিয়া
জলকন্যার সংস্পর্শে উন্মোচিত হয় তার হুলিয়া
তাই তো সৈকতে সই কতই হয়ে যায় অজান্তে
প্রশ্নটা তাই, সৈকত ভ্রমণে, না করলেই পারতে ৷৷
---------------------------------
Copyright ইন্দ্রনীর / ২৪ অগাস্ট ২০১৪