ছিঁড়ে অঝোর বৃষ্টির পর্দায় নিভৃত সময়
হাওয়া ভিজে, এলোমেলো, ইতস্তত বয়
ভিজে হয় ইতি, বৈশাখী শুকনো স্মৃতি
ডাক আসে মেলাতে পুরানো পরিচিতি ।
যাই হেঁটে তুমি আমি, সুস্পষ্ট, ছাতা মাথায়
বাকি সব লুকিয়ে বর্ষার ধোঁয়াটে কুয়াশায়
আধো ফোটা ছবি । আমাদের ঘনিষ্ঠ বৃত্ত
কাছে আসার অছিলায় জোড়া একাকীত্ব ।
রাখে দূরত্ব, ছিটে-বৃষ্টির শিশিরে সিক্ত সাকি
কিন্তু কল্পনায় তার হাতও ধরতে পারি না কি ?
কি করে জানব ? আমাদের অস্তিত্ব যে মেকী,
আর আমার প্রেম ? সে তো পুরনো, সাবেকি ।
তাই শুধু চেয়ে দেখি তোমার প্রতি পদক্ষেপে
নেমে আসে বৃষ্টির ফোঁটা । ব্যাকুল আক্ষেপে
মেশে তোমার কামিজে শেষ গ্রীষ্মের স্বেদে ।
ফুলকো সালোয়ার হয় কাবু, ঝটিকার জেদে
তোমার উড়নি বেসামাল অসহিষ্ণু হাওয়ায়,
যে চায় আশ্রয় তোমার বুকের কবোষ্ণতায়
তোমার সোনা পায়ের সবুজ, শুক-সবুজ চটি
আগলে বুকে, ছোটে সুখে, চপল টিয়ার জুটি,
আঙ্গুলের নখের লাল টুকটুকে নেল-পালিশে
রক্তবর্ণ শালুক । রাস্তার জমা জলের আকাশে
ভাসমান মেঘের শিহরিত ছায়ার শত তরঙ্গে
চোখ টেপে ট্র্যাফিক সিগন্যাল, অশ্লীল রঙ্গে
রং বদলায় লাল থেকে সোনালী হয়ে সবুজে
তবু থামাই গাড়ি, নামাই কাঁচ, দেখতে খুঁজে

কেউ কি দাঁড়িয়ে, খোঁপায় লাল ছাতা গুঁজে ?

----------------------
ইন্রনীর / ২৬ জুন ২০১৪