গুজব ছড়ায় পাড়ার ঝিয়ে , হাবুর নাকি মেয়ের বিয়ে
পুজোর নামে চাঁদা করে, বর পেয়েছে ওজন দরে

গায়ের রং - বেগুন ভাজার, হাতে পায়ে চুল তো হাজার
গোঁফের মাঝে বিরাট টাক, নাকের ডগায় তিলের চাক
চোখের ওপর জটিল ভুরু, ঠোঁট গুলো বেশ লালচে, পুরু
গাল দুটো তে ব্রণের চাষ, কানের লতি ক’ কিলো মাস
পেটটা যে তার প্রকাণ্ড বেশ, তার উপরে সাদাকালো কেশ
মাঝখানে এক টোপা কুল, নাভি ভাবতে হয়যে গো ভুল

পায়ের নখে কামড়ে মাটি, ধুতি পরে যায় সে হাঁটি
দেখে জোড়া পায়ের গোছা, “নিম্নে কেন তাহার পাছা?”
প্রশ্ন করে ছেলে ও বুড়ো, উত্তর যোগায় নকুল খুড়ো
“ও'দুই ব্যাটা, উপরে মা-বাপ, মুখের আদলে তাদেরই ছাপ”

যাই হোক, তার ভালই মন, বিয়ে করবে না নিয়ে পণ
চাই না কিছুই বাড়ি গাড়ি, চায় শুধু গোটা দুই মশারি

গায়ের চুলের ম্যালাই হ্যাপা, পাড়ার মশা ভীষণ খ্যাপা
রাতের বেলায় উড়ে উড়ে, ভোরে বেলায় ফেরে নীড়ে
চুলের মধ্যে ঢুকে পড়ে, কামড়ায় না শুধুই নড়ে
পাশ ফিরলে সুড়সুড় করে, এপাশ থেকে ওপাশ সরে
নতুন বউটি আশে পাশে, ফিকফিকয়ে যদি হাসে
যদি মশায় দ্যায় খেপিয়ে, মাথায় উঠবে নতুন বিয়ে
কামড় দেবে পোষা মশা - খাস্তা হবে বরের দশা
ফুলে গেলে লাশ দশাসই, পালিয়ে যাবে বিয়ে করা সই

কিন্তু ভায়া জোড়া মশারি? রহস্যটা কি জানতে পারি?
বলছি তবে গোপন কথা, তাজ্জব এই বরের মাথা

শুইয়ে দিয়ে নতুন কনে, ধরবে সব মশা সন্তর্পণে
ওত পেতে সে রইবে বসে, মাতিয়ে মশা বৌয়ের রসে
বাঁধবে শেষে এক মশারি, নতুন বৌয়ের ধারে, চারি
ইয়ং ব্লাডের কাজই কিবা, যদি না হয় পতির সেবা?
সেই টোপে সে ধরবে মশা, বুদ্ধি তাহার এতই খাসা

এর পরে খুব চিন্তা করি, খাটাবে এক আর মশারি
তার ভিতরে ফুলিয়ে ভুঁড়ি, নাক ডাকাবে ভুরি ভুরি
চুকবে যত মশার জ্বালা, জমবে ঘন ঘুমের পালা

তাই বলছি বন্ধু, শোনো | বউ থাকলে বিপদ কোনও,
গছিয়ে দিয়ে তার ওপরে, ঘুমাও তুমি আলস ভরে

আজই ডেকে শ্বশুর-শাশুড়ি, অর্ডার করো ডাবল মশারি
কদিন শুয়ে ট্রায়াল দিয়ে, নাহয় কোরো আবার বিয়ে |

-------------------------------------------
© ইন্দ্রনীর / ১৭ অগাস্ট ২০১৩