নিকষা অন্ধকার মহুয়াগন্ধমাখা,
বাদুড়-পেঁচার সাথে দিনভর ভাতঘুমে মশগুল।
খালি ঘুমঘুম, দিনঘুম, মায়াঘু্ম।
সোঁদাটে অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে নোনাধরা,
হাজার বছর যেন চুপিসাড়ে বাসা করে বিলকুল।
বড় চুপিসাড়, চুপিসাড়, নিঃঝুম।
ঝুরিচুলোবুড়ি যত মহীরুহ-মাতামহী
সার-সার যেন কার বেঁধেছে পাহারা দুর্লঙ্ঘ্য।
যত নিশ্চল প্রহরিণী নির্বাক।
“ও জমি জেনানাখাকী, ও জমি পিশাচী খুব”
আম-লিচু-পারিজাতে হারামির বন সাজে পরিজাদ।
তবু ঘেঁষেনা ওদিকে কোনো বুরবাক।
বলেছিল আসলম হারামির অফসানা,
বিস্মৃত, ব্যথাতুর, সুলতানি-হারেমের ইতিহাস।
ওতো হারেম-বাগিচা ছাড়া কিছু নয়।
“জঙ্গলি হলি রেত জেনানিরা কাঁদে, আপা,
মোরা গেরামের যত লোক, চেরোকাল জানি এডা সব্বাই
রেতে জমিনের নীচে কারা কথা কয় !”
দোয়া করে বুড়োমাঝি আমার পিতার স্বরে,
“আহা, দুখিনীসকল পাক আল্লার দরবারে ইনসাফ।”
শুনে বিগত দু’চোখ জলে থৈথৈ।
যুগের ওপার থেকে শুনি যেন চেনাডাক
আমি মুক্ত-আলোটি আজ উড়ে চলি কুয়াশায় একাকার
পিছনে আর্ত হাঁক, পিছনে ত্রস্ত হাঁক, “আপা তুমি কইইই?!!”