সেইযে গেলাম চাঁদবালিকার দেশে
তোমায়-আমায় টুবলু, মিলেমিশে
মন বলেছে তেমনি আবার চলি
ডাকছে আকাশ, ডাকছে তারার গলি।
টুবলু, এবার ফের দুজনায় যাবো
দিব্যি হবে, তাইনা? তুমি ভাবো !
মেঘের নাওয়ে আমরা দেবো পাড়ি
সেই যেখানে চাঁদবালিকের বাড়ি।
এবার সফর বলছো হবে দূরে
মিল্কিপথে আসবো তবে ঘুরে?
বোঁচকা আছে সঙ্গে আমার খাসা
স্কেটিং, স্কিইং সরঞ্জামে ঠাসা।
থাকনা পড়ে আর যা কিছু লাগে
ছাতের উপর দৌড়ে ওঠো আগে।
দিচ্ছে তাড়া মেঘের মাঝি বুড়ো
বিশখানা ট্রিপ, বড্ড তাড়াহুড়ো।
এই যে, ঝপাং! আকাশপাড়ি শুরু
মেঘের নদী ডাকছে গুরুগুরু।
মেঘ ছাড়িয়ে উঠছি আরো দূরে
চাঁদচাঁদোয়ায় মনভিজানি পুরে।
ওই যে দেখো মেঘপাহাড়ির ফাঁকে
চাঁদিম বরফ জমছে থাকে থাকে।
তার পিছনে বাংলো সারি সারি
বাগ-বাগিচায় রঙবাহারি ভারি।
লন সাজানো ধূমকেতু-ঝাউগাছে
ঝিলমিলানি বাল্ব সাজানো আছে।
তারও দূরে আকাশমণির দলে
স্কুলবাড়িতে সাতশো আলো জ্বলে।
ঊষাগ্রামের হারিয়ে যাওয়া দিনে
পৌঁছে গেছি রাস্তা চিনে চিনে।
চলছে এখন ইংরেজি ক্লাস বুঝি?
একটু দাঁড়াও টুবলু, মাকে খুঁজি।
তাঁতশাড়িতে মিষ্টি দিদিমনি
অ্যালবামে সেই ঠিক দেখা যেমনই।
কিন্তু আমি রয়েছি যে ফিউচারে
মা যদি না চিনতে আমায় পারে?
টুবলু, তোমার টমকে পেতে পারো
ও মাঝিদা, লাগবে সময় আরো।
এক্সট্রা নেবে? নইকো মোটে রাজি
কলকাতা নয়, করবে যে কারসাজি।
টুবলু, খুঁজে দিদার বাড়ি যাবো
ছোট্টবেলার বেগুন-মেথি খাবো।
ও মাঝিদা, চটছো কেনো বলো
বাড়তি সময় আট্টু না হয় চলো।
কার্ড নিয়েছি, ক্যাশ ভুলেছি দাদা
জলদি এতো হয়কি বাঁধাছাঁদা?
দিচ্ছি কথা আসছে বারে এসে
করবো খুশি জলভরা সন্দেশে।
টুবলু এবার ধরবো রিটার্ন গাড়ি
ফান্ড ফুরোলো, ফিরতে হবে বাড়ি।
আসবো আবার অন্য কোনো দিনে
না এলে ভাই তোমার সাথে আড়ি।