‘জাগো ওঘবতী! সতী জাগো , সতী জাগো!
আজ ফের শনিবার
সতীত্বপ্রমাণ করো অমোঘ রুটিনে।’
“শয়নেষু রম্ভা” আমি ধর্মপত্নী, শাস্ত্রবাক্য মেনে
ঠিকঠাক এঁটে যাই ওয়াফাদার খানুমের রোলে,
রম্ভাঅবতারে।
সোয়ামি দেবতা,তাঁর সিমেন্ট-কোম্পানিখানি মহীরুহ হোক।
বীজ বুনে চলি তারই বেশ্যা আমি আয়ুষ্মতী
পার্টনার শ্রীমিত্তলের সাদাবিছানায়,
প্রতি শনিবারে।
জেগে উঠি মহাভারতের আমি ওঘবতী
পতিপরমেশ্বরের কঠোর হুকুমে
প্রতি শনিবারে।
কিন্তু দ্বিজরূপী-ধর্মদেব আসেনা কলিতে আর
তাই পরীক্ষায় ওঘবতী ফেল, মানে আমি!!
শুরুর চোখেরজল,পাপবোধ হাওয়ায় ভ্যানিশ!
পরপুরুষের স্বাদ ওঘবতী বুঝেছিলো নাকি?!!
আমি তা বুঝেছি দু’মাসেই।
মিত্তলের দেহে বিষ বড় মধুময়!
মিত্তলের রতিসুখে লুকোনো মাদক!
কামনা ছিঁছৌড়ি ছুঁড়ি। কে তার খসম!!!
সাতপাকে বাঁধা পড়েনা সে।
জানো, অজান্তে অপেক্ষাকরি অসতীর নেশাবুকে,
কবে ফের আসে শনিবার!!
সেজেগুজে উঠি চন্দ্রমল্লিকার মতো,
পুরোটা স্বেচ্ছায়।
ক্ষমা কোরো পতিদেব, বিধাতারা যে যেখানে আছো।
ওঘবতী নষ্ট হলো
হে মহাভারত।