একটা ছোট্ট গল্প বলি , যদি শোনেন ।
সত্যিই এটা কোনো গল্প নয় ,
বড়ই বাস্তব বরং , আগাগোড়া !  
আর গল্পটির কথক হলো , ....না না , কথকঠাকুরানী ,
আমাদের কাজের মেয়ে সুশীলা ।
কোনো মঞ্চে নয় ,
ঘর মুছতে মুছতে বলছিলো সে গল্পটা !

পড়ে শোনাচ্ছিলাম তাকে খবরের কাগজ থেকে ,
আরবদেশের গোঁড়া আইনে
চুরি ও নারীধর্ষণের শাস্তি ।
কিছুটা বাড়ানোর জন্য  তার জি.কে.।
বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম
সৌদি আরবের  ভৌগোলিক অস্তিত্ত্ব ,
সহজ কথায়।
ওমা !! উত্তরে , পাল্টা আমাকেই দিলো সে বুঝিয়ে  !
বললো , সৌদি আরব কোথায়, জানে সে খুব !

তাদের পাড়ার , বাপ-মা-মরা মাধবীকে ,
পাড়াতুতো বৌদি তো চালান করেছিলো সেখানেই ;
কাজ দেওয়ার অছিলায় !
কোনো এক ঘুপচি , শ্বাসরোধী , সম্ভোগ-কারাগারে ;
বন্দিনী আরো একশো মেয়ের সাথে ।
হাজার পুরুষের খাদ্য হওয়ার জন্য , প্রতিদিন ,
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত হওয়া অবধি ।
এইভাবে সাতবছর...
বন্দিনী , নিগৃহীতা , অসূর্যম্পশ্যা ।

তারপরে মুক্তি!
বহু কলাকৌশলে , প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ।
একেবারে হাওড়াস্টেশন ।
কিন্ত যাবে কোথায় ?!!
অনাথা , নিরাশ্রয়া , মেয়েটির মনে পড়লো শুধু সেই
পরমাত্মীয়া , আশ্রয়দাত্রী বৌদি-দেবীটিকেই ,
যিনি করেছিলেন তার রপ্তানী , কিছু টাকার বিনিময়ে!
আর কেউ ছিলোনা যে তার , মনে করার মতো ।
সুতরাং এবারও আশ্রয়  তাঁরই সেই রাঙ্গা চরণতল।

পাঞ্চলাইনটা শুনে আমি চুপ করে গিয়েছিলাম ।
সুশীলার জিকে বাড়ানো হলোনা আর ,
কারণ, আমার জিকেটাই তখন অনেক বেড়ে গেছে ।
...........................

তবে এর মিলনান্তক শেষটুকুও বাদ দেবোনা।    ভাগ্যবিধাতার  আরো এক খামখেয়ালী খেলায়, মাধবী এখন এক বিবাহিতা , সংসারী রমণী ।...