আজ এই গভীর রাতে কোন
এক রহস্যময়ীর ভাবনায় বিভোর হয়ে গেছি
ঝলসানো আসমানে চন্দ্র দা আপন মনে
কিরণ দিচ্ছে ঠিকই।
কিন্তু কোথাও যেন এক অস্পৃশ্যতা
জোৎস্নায় অনেক পরিচিত নক্ষত্রও গুলিয়ে ফেলছি।
এই রহস্যময়ীর কোন সুরাহা হচ্ছে না,
কোথাও যেন এক তৃষ্ণা;
নীলিমার কাছে জিজ্ঞেস করেছি,
ও আজ বোবা হয়ে নিজেকে উন্মাদ রেখেছে।
বাইরের জোৎস্নায় নিজেকে আবার যেন হারালাম।
যদি আমি তাকে প্রশ্ন করি,
তুমি কেমন আছো মালবিকা?
এখনও কি বকুলের তলায়
নির্জন শিশির ভেজা ভোরে ফুল কুড়িয়ে
আমার জন্য মালা গাঁথ?
নাকি অনেকটা বদলে গেছো,
নাকি আজও একাকী গভীর রাতে
নিজেকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে আমার মত কষ্ট পাও!
এখনও কি সেই সূর্য স্নানের মরমি শবরী
তোমায় হৃদয় জেগে উঠে?
আজও কি মধুমতীর তীরে
আমাকে জড়িয়ে ধরার গন্ধ পাও?
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন বরণের দুষ্টুমিটা
তোমার মনে হাসির খোরাক জোগায়?
জানো মালবিকা?
আজ তোমাকে ছেড়ে বড় কষ্টে বেঁচে আছি!
সেই মধুমতীর তীর আমাকে বড় বিব্রত করে
জোৎস্নার ভিড় এখনও জেগে উঠে নিবিড় উষ্ণ ছোঁয়ায়।
সেই দুজনে হাতে হাত রেখে এঁকে বেঁকে পথ চলা,
তুমি বলতে; এই হাত টা ধরো না?
একটু মুচকে দিলেই রেগে আগুন।
তুমি আমাকে অনেকটা বদলে দিয়েছিলে,
কিন্ত ধরে রাখতে পারলে কই!
একটি বারও বুঝলে না তোমায় কতটা ভালবাসতাম।
জানো মালবিকা ?
আমি আজ মেঘ হয়ে আকাশে উড়ে বেড়াই,
শ্রাবণ আর হতে পারি না ,
নিজেকে আর ঝরাতে পারি না।
আজ তোমার মত আমায় কেউ বোঝে না;
আমায় হামান দিয়ে পেটালেও আমি আর নুড়ি হবো না
ঝর্ণায় আর ঝরে যেতে পারবো না।
বর একা হয়ে গেছি মালবিকা?
তুমি কেমন আছো আজ?
আমি তো হারিয়ে যাবো তুমি থাকবে
আমার স্মৃতির বাসরে
খুঁজে পাবে আমায় জোৎস্নার তারায় তারায়
এখন আর কী হবে আমায় ভেবে?
নিয়তি আমায় ঠেলে দিয়েছে যমালয়ে !
এখানে আমাকে পুড়তে হবে
ভালো থেকো মালবিকা।
জেনো আমি আজও তোমায় ভালবাসি।