যে কথা তোমাকে বলবার ছিলো
সে কথা বলি এখন শূন্য দেওয়ালে।
যে কবিতা তোমাকে লিখবার কথা ছিলো
তা লিখি এখন জীর্ণ ছেঁড়া পাতায়।
তুমি এই মহানগরীতেই আছো
অথচ তোমাকে দেখি না।
যে ঠোঁটে তোমার চুম্বনের কথা ছিলো
সে ঠোঁট চুষে নিয়েছে বিষাক্ত নিকোটিন।
যে শুক্লাদ্বাদশীতে এক সঙ্গে আকাশ দেখার কথা ছিলো
সে আকাশে এখন নক্ষত্রের হাহাকার।
যে গোধূলি গঙ্গার পাড়ে কাটানোর কথা ছিলো
সে গোধূলির অস্ত গেছে।
তুমি এই শহরেই আছো
তবুও তোমাকে খুঁজি না।
যে চিঠি তোমাকে লেখার কথা ছিলো
সে চিঠি লিখি এখন নগরবালিকাকে।
যে গান তোমাকে শোনানোর কথা ছিলো
যে গান তোমার সঙ্গে গাইবার কথা ছিলো
সে গানের সুর হারিয়ে গেছে।
তুমি এই নগরীতেই আছো
অথচ তোমাকে দেখি না,
দেখি শুধু তোমার নামের খোলা ম্যানহল।
যে স্বপ্ন তোমার চোখে দেখাবার কথা ছিলো
সে চোখ এখন অভিসন্ধির খোঁজে।
যে হাতে তোমার হাত ধরবার কথা ছিলো
সে হাত ধরেছে নষ্ট দখলে।
তুমি ভীষণ ভাবেই এই মহানগরীতেই আছো
অথচ তোমাকে দেখি না।
যে পলাশের নিচে তোমার সান্নিধ্য পাওয়ার কথা ছিলো
সে পলাশ শুকিয়ে বেদনা হয়ে গেছে।
যে বিকেলে তোমার হাত ধরবার কথা ছিলো
সে বিকেল এখন পেরিয়ে রাত্রি হয়ে গেছে।
তুমি এই শহরেই আছো
তুমি ভীষণ ভাবেই আছো
অথচ তোমাকে খুঁজি না
শুধু খুঁজেফিরি রিক্ত শূন্য আর্তনাদ।