জীবনের রাজপথে দাড়ায়ে কত মুহূর্তকে দেখি
যান্ত্রিক গতিতে দূরে চলে যায় সরে সরে, এ কি!
কত হাসি কান্না, বিরহপূঞ্জিত কত ভাবের বন্যা,
চলে যায় কালের অনন্ত গহ্বরে —
জীবনের আবেদন তবুও একাকি কেঁদে মরে,
নির্জন দ্বিপ্রহরে কিংবা নিবির রাতের অন্তরে।
কতদিন কত ভালোলাগা মরে যায়, মিশে যায় —
হৃদয়ে কেবলি অতৃপ্তির করুণ বিষাদ বহে যায়,
তবু কোন কবে শুনেছিলাম কার মধুর বাণী —
অথবা শ্রাবণ সন্ধ্যায় কেবল একটু জানাজানি
কেবল একটু পরিচয় তবুও হৃদয়ে রয়ে যায়।
তার সেই ফেলে যাওয়া চুলের সুবাস টুকুর মতো
আর কোনো সুবাস কভু পায়নি এ মন;
তার সেই হাসিটুকুর ললিত ঝঙ্কারটুকুর মতো
চারপাশে ভাসে কত অজানা অচেনা হাসি—
তবু যেন লাগে কতকাল শুনিনি তো কারও হাসি,
কতকাল যেন দেখিনি চেয়ে আমি মানুষের পানে
শুধু ক্ষণে ক্ষণে তারে দেখিতে পাই জাগ্রত স্বপ্নে।
অপেক্ষার প্রহর যন্ত্রণা বিদগ্ধ ক্ষত বিক্ষত প্রাণে
কোন সুদূরের মোহঘন বারতা আজ বয়ে আনে
বনপথে কুহরিত কোকিল বেদনারে যেন ডাকে,
আর হৃদয় যেন ডাকে আজ চির অজানা কাকে।