হয়তো একদিন এমনি বাদল ভেজা রাতের আঁধারে
আকাশের চাঁদ ডোবা একান্ত জনহীন অন্ধকারে
অবিরত বৃষ্টির জল ঝরবে করুন আর্তনাদে শিরিষের
ডালে, বিহগের নীড়ে; জীবন বিধুর ধূপ জ্বলে জ্বলে
নিভে যাবে আমার শিয়রে— অন্তিম আবেশের ভরে।
তারপর বহুদিন দেহহীন হয়ে আবার যদি এমনি এক
বাদলের দিনে,রাতের চাদর মুড়িয়ে সন্ধ্যার মত করে
হামাগুড়ি দিয়ে উঁকি দেয় তোমাদের বিপুল জীবনের
অমৃত বাতায়নে— পাখিদের গান জানি তবুও তখন
রাতের আঁধারে গ্রস্ত—হবে নিস্তব্ধ এই আজিকার মতন,
শিশুটিরে বুকে নিয়ে জড়ায়ে কাতর স্নেহের চাদরে —
জননী শুয়ে রবে আজিকার ফুটপাতের মা'টির মতো,
শিয়রের কাছে তার সেদিনও জ্বলিবে প্রদীপের মতোই
উজ্জ্বল অনাহার আর তার অসহায় দারিদ্র্যের প্রহার!