মন কেমন করা বারান্দা-
আমার জানলার কাচের এপার থেকে
পুব কোণে তোমাকে দেখে কাটাই
কত অলস মুহূর্ত জেগে।
কেউ কখনো আসে না ওখানে
দুটো টব রাখা, মাটি শুকনো যেখানে-
পর্দাটা টানা দরজার বুকে
যেন শিকল বেঁধেছে অনেক জীবনে।
মাথার উপর ঘুরছে পাখাটা
তোমার বুকের উপর রোদ্
উদাস-গল্প টেনে নিয়ে যায়
রাখি ফের জানলায় চোখ।
দুটো কাক কখনো বসেছে রেলিং এ
কখনো দুটো শালিক এসেছে
বারান্দা তোমার পর্দা উঠিয়ে
ঘুম ভাঙ্গা চোখে, আড়মোড়া ঠেলে
কেউ আসেনি দাড়াতে সেখানে
পড়ে যাওয়া রোদ মেখে।
ও বারান্দা কখনো বৃষ্টিতে ভিজো
মেলে দিয়ে খোলা বুক-
টবের গাছেতে, শুকনো মাটিতে
দুটো সবুজের দেখা হোক।
ভাঙ্গা টুল কোণে দেখেছি একটা
ধুলো পড়ে আছে ভর্তি
কেউ বুঝি তাতে বসতো কখনো
রেলিং এ ঠেকাতো মুখটি।
হয়তো বা খুশী,
মনখারাপের,
অপেক্ষাগুলোর সঙ্গী-
রেলিং এর ওই জং এ লেগে থেকে
এখনো রয়েছে বন্দী।
একদিন ভাবি দেখবো কারোকে
পর্দা সরিয়ে আসতে
রেলিং এর ধারে ভার দিয়ে হাতে
চোখ রাখবে রাস্তাতে।
সেদিনো কি আমি দেখতে থাকবো
এমনি ভাবে তোমাকে?
থাকবো না যে বেশীদিন আর
এই হসপিটালের বেডেতে।
বাড়ি যাবো কিনা জানা নেই কিছু
হয়তো যাবো না আর
যদি আসে কেউ বারান্দাজুড়ে
দেখা হয়ে যেতো একবার।
ও বারান্দা তোমার হলুদ রোদে
আমার ধূসর স্মৃতির ভার
রইলো পড়ে অপেক্ষাতে
রেলিং এর ধারটার।