বেশ ক'দিন ধরেই একটি মাকড়শা
তোমার ঘরের ঝুলবারান্দায় হাঁটতো-
গভীর রাতের জোছনা-আলিঙ্গনে যখন
যুগলচোখে ঘুমিয়ে পড়তে মধ্যরাতে;
তখন সে জাল বুনতে শুরু করতো-
মাঝে মাঝে ঘাড় উঁচিয়ে দেখতো তোমাকে...
কখনো কাছে যাবার দুঃসাহস হয়নি
জাল বুনতে বুনতে বুনতে...
রাত শেষে ভোর হতো কখন
টেরই পেত না বেখেয়ালিটা;
রাতজাগা ক্লান্ত শরীর নিয়ে যখনই যেত
ডুবসাঁতার দিতো তন্দ্রার ভেতরে ঠিক তখনই...
শলাঝাড়ে রোজ সকালে জাল ছিড়তে
মাকড়শা নিজেকে আবিষ্কার করতো–
নিচে সরু গলির পাশে
বেয়ে উঠতো আবার এক দুই তিন;
করে অনেকদিন, বড্ড উৎপাত মনে হত...
মহা যন্ত্রণায় পড়ে গিয়েছিলে তুমি
এক জোছনাধোয়া মধ্যরাতে ধরা–
পড়লো আহা অসহায় মাকড়শা!
ধূসর-বরণ বেদনায় নীল
হয়ে যেতে যেতে তুমি বুঝেছিলে ঠিক;
ওটা তোমার মধুর অতীত, আমার ছায়া।
—ইমরান শাহ্
/
চরজব্বর, সুবর্ণচড়
১২ঃ০৭ মিনিট, ০৬/০৫/২২ ইংরেজি