(১)
তখন মার্চের সেই কালরাতি
খেলছিলাম সবাই চড়ুই ভাতি
হঠাৎ পেলাম গোলাগুলির শব্দ
এক নিমিষেই সবই স্তব্ধ
ঝামটা মেরে ঝিম কাটালাম
এদিক সেদিক ফিরে তাকালাম
শুনতে পেলাম মানুষের আহাজারি
দূর তাকাতেই দেখছি পুরছে বসত-বাড়ি
মনটা যেন শিউরে গেলো
সব সাথিরা ভয় পেলো।

(২)
তারপর সব ভয় ছেড়ে
গেলাম সবে ফিরে ঘরে
খাটের উপর ধপাস করে
পরেছিলাম শুয়ে অনাদরে
খানিক বাদে দেখলাম মা'কে
আঁচল দিয়ে আলতো ঢেকে
করছে কেমন নীরব কান্নাকাটি
ছোট বোনটা আশেপাশে করছে হাটা-হাটি
মনে মনে ভাবছি আবার
ঝগড়া হয়নিতো সঙ্গে বাবার।

(৩)
জিজ্ঞাসিলাম মা'কে ই এবার
সাড়া শব্দ নেইকো বাবার
এত রাতে গেলেন কোথায়
গঞ্জে না আলুর ভিটায়
কখন থেকে বলছি কথা
বলতো, কিসের এতো নীরবতা
খাট  থেকে সোজা উঠে
গেলাম আমি মায়ের কাছে ছুটে
বোনটাকে আমার কাঁধে ঝুলিয়ে
মায়ের চোখে হাত বুলিয়ে–

(৪)
মা কি হয়েছে বলনা
আমি কি তোমার ছেলেনা,
কেঁদে উঠে বলল মা
বেঁচে নেই তোর বাবা
মেরেছে তাকে পাক হানাদার
মেরে ওদের করবি সাবাড়
ফিরলাম আবার নিজ বঙ্গে
গাজী হয়ে পতাকা নিয়ে সঙ্গে
কেড়ে নিয়েছিল মায়েরই সম্ভম
বন্ধ করেছিল বোনের দেহ-দম।

(৫)
লাশ পাওয়া যায়নি নাকি
লুট করেছিল ঘটি বাটি
মা,বোনকে মারার পরে
জ্বেলে দিয়েছিল আগুন ঘরে
মা- বোনের অপরাধ এইটুকু
যুদ্ধে গিয়েছ কেন "টুকু"
মায়ের আদর বাবার স্নেহ
যেন হারায়না এমন কেহ
নেই আজ চড়ুইভাতি দল
সেই সৃতিতে চক্ষু জ্বলজ্বল।।





২৫/০৩/১৮ ইং
-------------------------------------
-------------------------------------

—ইমরান শাহ্‌