বেশ অনেকদিন দেখা হয় না
তোমার সাথে...
খুব অভিমান হয়েছে নিশ্চয়ই এতদিনে
ওগো পদ্মিনী।

বোমারু বিমান, জলকামান কিংবা টিয়ারসেল
উপেক্ষা করে...
পিচঢালা পথ, রেলস্টেশন অতিক্রম করে
এগিয়ে যাব বেনাপোল বন্দর অভিমুখে।

যেদিন কমে যাবে  পৃথিবীর অসুখ
হঠাৎ এসেই...
সম্মুখপানে ঠায় দাঁড়াবো; কি করে
স্থির রইবে?

আনন্দ অশ্রুতে ভাসবে অই যুগলচোখ
অঝোর ধারায়...
কিভাবে রাখবে তখন অভিমান পুষে
বুকের অন্দরে। সংবরণ করতে পারবে?

ভাগ্যের বিরম্বনায় রয়েছি দু'জনে বহুদূরে
শতসহস্র মাইল...
দেখো এই দূরত্ব শেষ হবে
সময়ের প্রয়োজনে।

প্রথম দেখা হওয়ার মাহেন্দ্রক্ষণ ভেবে
তুমি যখন...
চলে যাও মূহুর্তেই মনখারাপের ব্যালকনিতে;
সে যাতনায় আমিও হই ক্ষতবিক্ষত।

সঙ্কটাপন্ন পৃথিবীর মুক্তি মিললে,অদৃশ্য
ব্যাধি থেকে...
ছুটে চলে আসব তোমার অপেক্ষমান
পরিচিত ঠিকানায়।

মানচিত্রের সরলরেখায় তাঁরকাটা না থাকলে
চলে যেতাম কবেই হেটে হেটে
রেললাইন, পিচঢালা পথ পেরিয়ে তোমার
বাড়ির আঙিনায় অথবা পাড়া-মহল্লায়।

আজকাল মানুষ নয়; মনে হয়
মাঝে মাঝে...
কেন পাখি হলাম না প্রভুর
অসীম কৃপায়।

অন্তত সামগ্রীক প্রাচীর টপকে যেতে
পারতাম অনায়াসে ...
তুমিতো জানো প্রিয়তমা, আমার একমাত্র
নির্ভরযোগ্য গন্তব্য ওয়ি নির্মোহ আলিন্দযুগলে।

বহুকাল রয়েছ ফেরার আশায়; কাটিয়েছ
বিনিদ্র রজনী ...
অপেক্ষাকে উপেক্ষায় বদলে দিয়ে; ছুটে
যাবই যাব।

তোমার প্রেমিক পুরুষ কতদিন হলো
পান করেনি...
প্রেমীয় সুধা, রসময় ওষ্ঠের নিবিড়
আলিঙ্গন, উষ্ণ ছোঁয়া, শারিরীক উত্তাপ।

এত মৃত্যু এই অনিশ্চিত পৃথিবী
পায়ে ঠেলে...
কি-করে যাই তোমার কাছে
বলতে পারো?



- ইমরান শাহ্

করোনা কালীন লেখা

রচনাকাল
১৭/০৪/২০ ইং
ডেমরা, ঢাকা