ভয়ের বুননে সে ঢেকে দেয় সুনীল আকাশ
তালে তালে নাচায় রং-বেরঙের পোশাক
লোভে লোভে নিহত হয় এক বিরহী কোকিল
আজন্ম মৃত্যুহীনতার দায় আমৃত্যু ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলে।

অথচ,
সে ভেবে দেখেনি এখানে আছে আশ্চর্য গ্রহাণু
আছে হাজার হাজার পুঞ্জীভূত ক্ষয়হীন নক্ষত্র
আমি কবি, আমার আছে ভালোবাসার তুমুল বৈভব
অগাধ ভাণ্ডারে তরল গরল অমৃত মিলেমিশে একাকার।

জিজ্ঞাসা,
শেষ করা যায় কি চাইলেই সব একলহমায়
বৃত্তের বাইরে যাওয়া যায়! এই একজীবনে?
তবুও মানুষ অপ্রয়োজনে চলে যায় ঠিকানা ছেড়ে
অবশেষে সব হারিয়ে ফিরে আসে নষ্টনীড়ে।

কষ্ট বিরিক্ষের কাঙাল সেই স্বর্ণলতা সুখ পায়নি
চূড়ান্ত পরাজয় মিলেছে। তবুও দমে যায়নি
ঠোঁটপোড়া কোকিল, প্রতিক্ষা করে গেছে সোনালী জোছনার।

জানো,
সুখীদের কাব্যগাঁথা উচ্ছ্বাসে খুঁজে ফিরেছি নিজেকে অহর্নিশ
মেঘলা যৌবন নিয়ে লক্ষ জীবন প্রতিক্ষায়
সুদিন আসবে না জেনেও করি প্রাপ্তির হাহাকার
সত্য মিথ্যা হতে পারে! রূপান্তর হয়-না।

তবুও,
বাসনার পুষ্পহাত রেখেছি হাতে তৃষিত প্রবল আকাঙ্ক্ষায়
চিবুকাস্থিতে পেয়েছি শৈল্পিক ছোঁয়া, স্বর্গীয় আবেশে
সকল চাওয়া পাওয়া ভস্ম করে সম্পর্কটা হল;
হঠাৎ ডোমনা চিতি, গ্রোগ্রাসি হল শহজেই।





— ইমরান শাহ্