একজন প্রেমিক দক্ষ কারিগরের মত–
গড়ে তার ভালোবাসার তাজমহল
দক্ষ নৌচালকের মত করেই হাল...
ধরেন শক্ত হাতে প্রবল জলোচ্ছ্বাসেও।
অথচ,
সেই প্রেমিক একবার অপ্রেমিক হলে–
বিধ্বংসী হতে পারে শহজেই
প্রলয়ে লণ্ডভণ্ড করতে পারে সবকিছু
সর্বগ্রাসী, সর্বনাশা হতে পারে।
একদিন অশেষ বিরক্ত হয়ে প্রেমিক–
অন্ধ করে দেয় যুগলচোখ
দেখবে-না বলে সেই অপ্রেমিকাকে...
মেরে ফেলে সমস্ত ইচ্ছেশক্তি।
বন্ধ করে দেয় ফেরার সমস্ত দরজা–
পৃথিবীর সমস্ত ধর্ষিতার আর্তনাদ;
ঢেলে দেয় ঘৃণায় তার যুগলকর্ণে
পৌঁছে যায় নির্মমতার নির্মিশেষে।
ফেরাতে চাওয়ার আকাঙ্খাকে বসিয়ে রাখে–
হিটলারের ভয়াবহ অসহ আক্রোশে...
পৃথিবীর সর্বনিকৃষ্ট আক্রমণে তছনছ করে;
সাজানো গুছানো রঙিন স্বপ্নগুলো।
শুকনো বালুচরে যে প্রবাহিত করেছিল–
মরুভূমির শুষ্কতায় জল ভরে
নতুন জীবনের করেছিল প্রাণ সঞ্চার
দিয়েছিল সমতল ভূমি উপহার।
ভাবো,
সেই প্রেমিক আজ অপ্রেমিক হয়ে–
হৃদয় বাগানের পুষ্পশ্রী ছেঁড়ে;
বিনষ্ট করে ঘৃণিত এসিডের বন্যায়...
সব সময়ের নিষ্ঠুর খেলা।
ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে পান করতে পারে–
নির্দ্বিধায় হাইড্রোফিলিস বেলচি'র লালা
ক্ষুধার্ত বাঘের মত খুবলে খেতে...
পারে বিচ আপেলের সর্বাঙ্গ।
পৃথিবীর ইতিহাস খুলে একবার দেখ–
আমাকে রাগিও না দানবকুঞ্জ
কালে কালে আমাদের কলমের আঁচড়ে...
তুমি লাঞ্চিত হয়েছ সর্বজনে।
একবার অপ্রেমিক কোন কবির কলম–
আবার গর্জে উঠলে বিপক্ষে...
আমার, আমাদের অন্তত কবিকুলের;
রেহাই নেই ভন্ড অপ্রেমিকাদের।
যদি আরেকবার অধিকারে বামহাত দাও–
অপ্রেমিক করো কাউকে নির্বিচারে
কথা দিচ্ছি, ইতিহাসের কোটি বছরে;
পুঁতে রেখে দেব নির্লজ্জ মৃতদেহ।
–ইমরান শাহ্
লক্ষ্মীপুর, রায়পুর
০৬/০৫/২২ ইংরেজি
সময়ঃ- ১২ঃ৩০ মিনিট